নয়াদিল্লি: জাতীয় নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের সমর্থনে বিজেপি প্রধান অমিত শাহের পর এবার যোগব্যায়াম গুরু রামদেবও গলা ফাটালেন। প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ‘জাতীয়তাবাদী’ আখ্যা দিয়ে রামদেব বলেন, দীর্ঘ নয় বছর ধরে কারাগারে প্রজ্ঞার উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে তাতেই ক্যান্সার ধরা পড়েছে তাঁর! ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণের মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়া প্রজ্ঞা ঠাকুরের সমর্থনে রামদেব আরও বলেন, “শুধুমাত্র সন্দেহের বশে গ্রেফতার হন প্রজ্ঞা। তাকে জেলে এমন নির্যাতন করা হয়েছিল যেন তিনি একজন সন্ত্রাসবাদী!”
রামদেব সাংবাদিকদের বলেন, “এটা অপরাধের পরাকাষ্ঠা। কেবলমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করবেন এবং তাকে নয় বছর ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করবেন! যে প্রবল চাপ তাকে সহ্য করতে হয়েছিল তাঁর ফলে প্রজ্ঞা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যান এবং ক্যান্সারের মতো রোগ হয় তাঁর। তিনি একজন সন্ত্রাসী নয় বরং জাতীয়তাবাদী মহিলা।”
২৬/১১ মুম্বাই বিস্ফোরণ কাণ্ডের শহিদ হেমন্ত কারকারেকে নিয়ে প্রজ্ঞা ঠাকুরের সাম্প্রতিক বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে রামদেব জনগণের উদ্দেশ্যে প্রজ্ঞার প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার আহ্বান জানান। রামদেব বলেন, “এই নারীর জন্য আমাদের কিছু সহানুভূতি দেখানো উচিত এবং ওঁর যে উদাসীনতা এবং তিক্ততা জন্মেছে তা বোঝার চেষ্টা করা উচিত।”
প্রজ্ঞা ঠাকুর গর্ব করে বলেছিলেন যে, তাঁর অভিশাপেই হেমন্ত কারকারের মৃত্যু হয়েছে। একটি সাংবাদিক সম্মেলনেই প্রজ্ঞা বলেন, “আমি হেমন্তকে বলেছিলাম যে আপনি শেষ হয়ে যাবেন, এবং দুই মাসেরও কম সময়ে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছিল।” এই মন্তব্যে দেশ জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে প্রজ্ঞা ফের জানান নিজের বলা কথাগুলো ফিরিয়ে নিয়েছেন তিনি, সংশোধন করে বলেন, হেমন্ত অবশ্যই একজন শহীদ।ভোপালে প্রজ্ঞা ঠাকুরের হয়ে প্রচার করবেন কিনা জানতে চাইলে রামদেব বলেন, “আমি যা বললাম তাতেই আপনাদের হেডলাইন খবর হয়ে যাবে। দয়া করে এতেই সন্তুষ্ট থাকুন।”