প্রজ্ঞার পর নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বললেন বিজেপির এই নেত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#ইন্দোর: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর । ভোপাল কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগবিজয় সিংকে পরাজিত করে সংসদে গিয়েছেন প্রজ্ঞা। এবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের এক বিজেপি নেত্রী নাথুরাম গডসেকে জাতীয়তাবাদী বলে অভিহিত করলেন। আম্বেদকর নগরের বিধায়ক ঊষা ঠাকুর বলেন নাথুরাম এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি সারাজীবন জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন।

মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে এবার ‘রাষ্ট্রবাদী’ নেতা বলে সম্বোধন করলেন মধ্যপ্রদেশের মউ কেন্দ্রের বিধায়ক ঊষা ঠাকুর। তাঁর দাবি, দেশের স্বার্থেই আত্মত্যাগে ব্রতী হয়েছিলেন গডসে। তিনি সারাজীব দেশের জন্যই উৎসর্গ করেছিলেন বলেও দাবি এই নেত্রীর। কিন্তু যিনি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করেন তিনি গান্ধীজিকে হত্যা করবেন কেন? প্রশ্নের জবাবে ঊষা বলেন কী পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেটা একমাত্র তিনি জানেন। আমাদের কারও এ ব্যাপারে কথা বলা উচিত নয়।

এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্র পঙ্কজ চতুর্বেদী বলেন, ‘এই ঘটনায় ফের প্রমাণিত হল যে বিজেপির মুখে রামনাম, কিন্তু মনে ও কাজে নাথুরাম। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি যে আদৌ বিব্রত নয় তা প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর, অনন্ত হেগড়ে ও নলিন কোটালের ক্ষেত্রে তারা এখনও কোনও পদক্ষেপ না করায় প্রমাণিত হয়েছে। আইনি নোটিশ পাওয়ার ১২ দিন পরেও কর্নাটকের দুই বিজেপি রাজনীতিক গডসে সম্পর্কে যে আপত্তিজনক টুইট ও মন্তব্য করেছেন, তাই নিয়েও হেলদোল নেই তাদের।’ মউ-এর বিজেপি বিধায়ক ঊষা ঠাকুর অবশ্য এর আগেও বেফাঁস মন্তব্যের জেরে বেশ কয়েক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি নবরাত্রিতে গরবা মণ্ডপে মুসলিম তরুণদের প্রবেষ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। ওই মাসেই ঈদ-উল-আজহা পরবে মুলিমদের পশুহত্যার বদলে তাঁদের পুত্রসন্তান বলি দেওয়ার পরামর্শ দেন বিধায়ক।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest