Site icon The News Nest

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ভিত্তিহীন, বলল সুপ্রিম কোর্ট

ranjan gogoi

#নয়াদিল্লি: দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বিরুদ্ধে আনা যৌন হেনস্থার অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই ।বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিচারপতিদের প্যানেল। বিচারপতি এসএ ববদে, বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রর এই প্যানেল একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, ‘‘এই তদন্ত রিপোর্ট জনসমক্ষে আনার কোনও বাধ্যবাধকতা তাঁদের নেই, তাই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে না।’’

গত মাসেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রথম এই অভিযোগ সামনে আসে। ওই অভিযোগকারিণী সুপ্রিম কোর্টেরই প্রাক্তন কর্মী ছিলেন। ২৮ পৃষ্ঠার অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছিলেন, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ও ১১ অক্টোবর নিজের বাড়ির অফিসে তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তাঁকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করা হয় বলেও অভিযোগ। রঞ্জন গগৈয়ের বাড়ির অফিসেই পোস্টিং ছিল ওই মহিলার।তিনি বলেছিলেন রঞ্জন গগৈয়ের প্রচেষ্টা প্রতিহত করার পরেই তাঁর চাকরি যায়। একই সঙ্গে, দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত তাঁর স্বামী ও দেওরকেও সাসপেন্ড করা হয়।

অভিযোগ সামনে আসার পরই তা অস্বীকার করেছিলেন রঞ্জন গগৈ। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগের পিছনে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে দেশের বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করতেই এই শক্তি কাজ করছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন অভিযোগকারিণী। অভিযোগকারিণীর দাবি ছিল, এই প্যানেল থেকে তিনি কোনও বিচারের প্রত্যাশা করেন না। তাঁর দাবি ছিল, ওই বিচারপতি এন ভি রামানা দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর খুবই ঘনিষ্ঠ, তাই তিনি সুবিচার পাবেন না। এই আপত্তি জানার পরই বিচারপতি এন ভি রামানাকে সরিয়ে বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রকে এই প্যানেলে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তার পরও এই প্যানেলের তদন্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন অভিযোগকারিণী।কিন্তু তদন্ত কমিটি স্থির করে তাঁকে ছাড়াই তদন্ত চালানো হবে। গত বুধবার তদন্ত কমিটির সামনে হাজিরা দেন প্রধান বিচারপতি গগৈ।

Exit mobile version