বাংলা সংগীতজগত থেকে খসে পড়ল আরেক নক্ষত্র। প্রয়াত হলেন প্রতীক চৌধুরি। মৃত্যুকালে
তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনেই মুরলী ধর সেন স্ট্রিটেই রয়েছে প্রতীক চৌধুরীর পারিবারিক ব্যবসার অফিস। মঙ্গলবার সন্ধেয় সেখানেই ছিলেন তিনি। সন্ধেয় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে নিজের অফিসের সামনেই পড়ে যান। তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে ব্যর্থ হয় চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা। মৃত্যু হয় এই খ্যাতনামা গায়কের।কিছুদিন আগেই দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেনচার্সের ছবি ‘হবুচন্দ্র রাজা গবু চন্দ্র মন্ত্রী’-র গান রেকর্ড করেছিলেন প্রতীক চৌধুরী। তাঁর নতুন গান বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। শিল্পীর অকাল প্রয়াণে শোকাহত সঙ্গীত জগত।
নয়ের দশকে যে ক’জন গায়কের হাত ধরে বাংলা সঙ্গীত জগতে নতুন জোয়ার এসেছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রতীক চৌধুরি। ছোটবেলা থেকে একাধিক গুরুর কাছে সঙ্গীতচর্চা তাঁকে গানের জগতে পাড়ি দেওয়ার উৎসাহ দিয়েছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার পর সঙ্গীতই ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। জিঙ্গলের দুনিয়ায় একটা সময় প্রতীক ছিলেন অন্যতম সেরা। ১৯৯৪ সালে তিনি প্রথম বিজ্ঞাপনী গান অর্থাৎ জিঙ্গলস দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন। বহু বিখ্যাত ব্র্যান্ডের হয়ে জিঙ্গলস গেয়েছেন তিনি। কুকমি, খাদিম, টাটা স্টিল, স্টিলাক্সের বিজ্ঞাপনে তাঁর কণ্ঠস্বর বিখ্যাত হয়ে ওঠে। প্রতীক চৌধুরী গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং রিমেক গান শ্রোতারা পছন্দ করেছিলেন। ২০১৮ সালে নিজের জন্মদিনে তিনি ‘এই বাংলার নীরে’ নামে একটি অ্যালবাম রিলিজ করেছিলেন। ২০০৩ সালে পাতালঘর নামে একটি সিনেমা রিলিজ করেছিল। সেখানে প্রতীকের গানও মন ছুয়েছিল দর্শকদের।