Site icon The News Nest

‘ফণী’র জন্য সতর্কতা, ১৯’টি জেলার বাসিন্দাদের সরাচ্ছে বাংলাদেশ

fani

ঢাকা: ১৯’টি উপকূলবর্তী জেলা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকেও।

বাংলাদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রকের পদস্থ সচিব শাহ কামাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, শুক্রবার সকাল ১০’টার মধ্যে ১৯’টি উপকূলবর্তী জেলা এবং সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে বহু মানুষকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। এই ১৯’টি জেলার মানুষদের সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাখা হবে এক-একটি অস্থায়ী শিবিরে। এমন অস্থায়ী শিবিরের মোট সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। স্থানীয় স্কুলগুলিকেও অস্থায়ী শিবির হিসাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। ব্যবস্থা হয়েছে খাদ্য ও পানীয়েরও।

বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী এনামুর রহমান বললেন, “আমরা ‘ফণী’র সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছি। আশা করি, এই ভয়ঙ্কর শক্তিশালী সাইক্লোনের ফলে কারও প্রাণসংশয় হবে না। তেমন সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে”। এনামুর বলেন, উপকূলীয় ১৯টি জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা ছাড়াও উপকূলীয় সেনা ক্যাম্পগুলিতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তারাও প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫৬,০০০ স্বেচ্ছাসেবককেও তৈরি রাখা হয়েছে।

৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার গতির ঝড় হলে তা শক্তিশালী ঝড় এবং ২২১ কিলোমিটার গতির হলে সেই বিশেষ ধরনের ঝড়কে ‘সুপার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলে। প্রবল ঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতও চলবে এই ফণীর কারণে। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনীর জাহাজ ও হেলিকপ্টার সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও প্রস্তুত।

Exit mobile version