#বিশকেক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন ইমরান খান। কিন্তু মাঝেমধ্যেই কূটনৈতিক প্রোটোকল ভাঙার অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই তালিকায় নতুন সংযোজন বিশকেকের সাংহাই কোঅপারেশন সম্মেলন।
সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা ‘এসসিও’ গোষ্ঠীর রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে। কিরঘিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে এ দিন সম্মেলনের উদ্বোধন ছিল। উদ্বোধনের সময় শেয়ার হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সমস্ত দেশের প্রতিনিধিরা যখন কূটনৈতিক প্রথা মেনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিশ্চিন্তে নিজের আসনে বসে রয়েছেন।আরও পরিষ্কার করে বললে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের গোষ্ঠীর রাষ্ট্রপ্রধানরা সম্মেলনে একের পর এক সভাকক্ষে ঢুকছিলেন এ দিন। যখন তাঁরা সম্মেলন হলের ভিতরে প্রবেশ করছিলেন, তাঁদের দাঁড়িয়ে স্বাগত জানাচ্ছিলেন আগে থেকে ভিতরে উপস্থিত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। কিন্তু ব্যতিক্রম ইমরান খান।
ইমরান খান প্রবেশের পর সোজা গিয়ে নিজের আসনে বসে পড়েন। ইমরান খানের ঠিক পরেই প্রবেশ করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি কিন্তু না বসে পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধানদের স্বাগত জানান। মোদীর মতো অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও দাঁড়িয়ে স্বাগত জানাচ্ছিলেন। ইমরান খান খুব অল্প সময়ের জন্য শুধু একবার দাঁড়ান, যখন তাঁর নাম সম্বোধন করা হয়।এই ঘটনাটি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশ করা হয়। তারপর থেকেই সমালোচনা শুরু হয়। নেটিজেনরা অনেকে বলতে থাকেন, ন্যূনতম সম্মান দেখাতেও জানেন না ইমরান। বোঝাই যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন তিনি। কেউ আবার বলেন, ইমরান জানেনই না, একটা সর্বদলীয় বৈঠকে কীভাবে প্রোটোকল মেনে চলতে হয়।
Prime Minister of #Pakistan @ImranKhanPTI's Arrival with other World Leaders at Invitation of President of Kyrgyzstan for Opening Ceremony 19th Meeting of the Council of the Heads of State of the Shanghai Cooperation Organization in Bishkek Kyrgyzstan (13.06.19)#SCOSummit2019 pic.twitter.com/fYdKYN3Fv7
— PTI (@PTIofficial) June 13, 2019
তবে এই ধরণের ঘটনা ইমরান খান আগেও করেছেন। ১৪ তম অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কনফারেন্সে গিয়ে সৌদি রাজা সলমন বিন আবদুলাজিজের দোভাষীর সঙ্গে কথা বলছিলেন ইমরান। দোভাষী সেই কথা সৌদির রাজাকে জানানোর আগেই ইমরান বেরিয়ে যান। এই ভিডিয়ো নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সৌদি আরবের মানুষ তাঁদের রাজাকে অসম্মান জানানোর জন্য ইমরানের সমালোচনা করেন। এমনকী পাকিস্তানের মানুষও এই ঘটনার জন্য সমালোচনা করেন ইমরানের।