Site icon The News Nest

সীমান্ত উত্তেজনার মাঝেই ফের ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান , হত পাইলট সহ ৪

MIG CRASH BUDGAM 790

বদগাম : বেঙ্গালুরুর পর জম্মু-কাশ্মীরের বদগামে ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। এই ঘটনায় বিমানের চালক সহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যুর খবর মিলেছে।

দিন পাঁচেক আগে বেঙ্গালুরুতে মহড়া দিতে গিয়ে এক পাইলটের মৃত্যু হয়। পাকিস্তানে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাত- এর পরের দিন এই ঘটনা ভারাক্রান্ত করেছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন , তাহলে কি যান্ত্রিক ত্রুটি ভারতীয় সেনার অন্যতম শত্রু হয়ে দাঁড়াচ্ছে ?শত্রুকে আক্রমণ করার আগেই যদি কেবল বিমানের মহড়া ও বিমান চালাতে গিয়েই আমাদের বায়ুসেনার প্রাণ যায় তাহলে তা শত্রুর মনোবলকে বাড়িয়ে তুলবে। এবিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।  কেবল শত্রু দেশকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কথা বলে দেশের নিরাপত্তা গাফিলতি কোনোভাবেই মেনে নেয়া উচিত হবে না। অন্তত যাদের বাড়ির সেনা ও আধা সেনার প্রাণ এইভাবে অকারণে ঝরে গিয়েছে তারা প্রশ্ন তুলছেন। শহীদ বাবলু সাঁতরার স্ত্রী প্রত্যাঘাতের খবর পাওয়ার পর একই প্রতিক্রিয়া দেন।তিনি বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে।

যুদ্ধের স্নায়ু উত্তেজনার মাঝে ভারতীয় সেনার এরকম অকালপ্রয়াণ মর্মান্তিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপির রাজনৈতিক প্রচারে রাজস্থানের চুরুতে বলেন,’দেশ নিরাপদ হাতে রয়েছে।’ এখন যদি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিহত দুই পাইলটের পরিবার  প্রশ্ন করেন তাহলে কি উত্তর দেয়া যাবে ? তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা জরুরী। নিকেশ করতে হবে জঙ্গিদের ও জঙ্গির মদদদাতাদের । সবক শেখাতে হবে পাকিস্তানকে। কিন্তু তা করতে গিয়ে প্রথমে দরকার সুস্থ ও নিরাপদ পরিকাঠামো। অযথা সব জেনে বুঝে মৃত্যুর মুখে তরতাজা ছেলেগুলোকে ঠেলে দেয়া কি যুক্তিসঙ্গত হবে ? নিশ্চয়ই সেনা রয়েছে আমাদের রক্ষার জন্য কিন্তু প্রশ্ন হল তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কি সরকারের নেই ? যদি কেবল প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে অথবা নিরাপত্তা গাফিলতিতে দেশের সেনা প্রাণ যায় তাহলে তাদের মনে আঘাত লাগা স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠতেই পারে আরেকটু ভালো করে যান্ত্রিক ত্রুটি গুলি খতিয়ে দেখলে অসুবিধা কোথায়। কেনই বা নিরাপত্তাকে আরো সুরক্ষিত করা হবে না। সেনার প্রাণ চলে যাওয়ার পর শহীদ বেদী বসানোর থেকে সেনার প্রাণরক্ষা অনেক বেশি জরুরী যদিও সোশ্যাল সাইটে আবেগ বন্যা সে কথা হয়তো মানতে নারাজ হবে।

বহু প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ভারতীয় বায়ুসেনা বুঝিয়ে দিয়েছে তারা পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে তাদের যোগ্য জবাব দিতে  পারে। এদিন পাকিস্তান পাল্টা জবাব দিতে এলে ভারত বুঝিয়ে দেয় জঙ্গিহানা মদদ দেওয়া এবং যুদ্ধ ও প্রত্যাঘাতের মোকাবিলা করা এক জিনিস নয়। কাপুরুষোচিত লড়াইয়ে বারবার পাকিস্তান ভারতকে  চাপে ফেলেছে । ভারত বহুবার আন্তর্জাতিক বিশ্বের দ্বারস্থ হয়েছে । সেটাকেই পাকিস্তান মনে করেছিল ভবিতব্য। এটাই বুঝি চলতে থাকবে । কিন্তু ভারত এবার পাল্টা জবাব দিলো।

যদিও রাজনৈতিক মহল বিষয়টিকে রাজনীতির বাইরে দেখতে চাইছেন না। তাদের দাবি শহীদ জওয়ানদের ছবি পিছনে রেখে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ স্পষ্ট ইঙ্গিত করে যে ভোটের আগে বিজেপি রাজনীতি শুরু করছে। এই দেশটা কেবল কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের নয়। দেশটা সবার। তাই আধাসেনার লাশের ওপর কোন রাজনীতি যাতে না হয় সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে আর বাকি নেই। এদিকে আরএসএস প্রত্যাঘাতকে সামনে রেখে বিজেপির হয়ে প্রচার শুরু করেছে। বেরিয়ে পড়েছেন স্বয়ং মোহন ভাগবত।

Exit mobile version