ফের লোকসভায় তিন তালাক বিল পেশ, আরও এক বার বিরোধিতায় সুর চড়ালো বিরোধীরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নয়াদিল্লি: নয়া অধিবেশন বসতেই আরও এক বার ‘তাত্ক্ষণিক তিন তালাক’ বিল উত্থাপন করল এনডিএ সরকার। বিল পেশ করার পক্ষে ১৮৬টি ভোট পড়ে, বিপক্ষে পড়ে ৭৪টি ভোট।

বিলটি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানাতে শুরু করে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ একাধিক আঞ্চলিক দল। শুক্রবার লোকসভায় বিলটি পেশ করার পরই ভোটাভুটি দাবি করেন বিরোধীরা। সংখ্যার থাকতে তাতে উতরে যায় সরকার। পরে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ধর্ম-জাত-সম্প্রদায় পরের কথা। মুসলিম মহিলাদের সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই বিল পেশ করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এ দিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, “এখানে আইন তৈরির জন্য জনগণ সাংসদদের নির্বাচিত করেছেন। আইনের ভুলভ্রান্তি আদালতে আলোচনা সাপেক্ষ।” তাঁর যুক্তি, “মুসলিম মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। ধর্ম, সম্প্রদায়ের থেকে গুরুত্বপূর্ণ মহিলাদের নিরাপত্তা।” এই বিলে পুরুষদের তিন বছরের জেল পাঠানোর যে নিদান দেওয়া হয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন এআইএমআইএম-এর আসাদউদ্দিন ওয়েসি। এই বিল বৈষম্য তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেন ওয়েসি। কংগ্রেসের তরফে শশী থারুর বলেন, এই বিল নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উপর কড়া পদক্ষেপ করা হবে।  বিশেষ করে মুসলিম পুরুষদের ওপর। অন্য ধর্মের স্ত্রীদের পরিত্যাগ করেন পুরুষরা। সার্বিক নিয়ম তৈরি করার দাবি জানান থারুর। পাশাপাশি ওই বিলকে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানোর দাবিও তোলেন।

আজ এই বিল পেশ সর্বসম্মতিভাবে পাশ হয় লোকসভায়। উল্লেখ্য, তালাক প্রথা নিষিদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের ওই নির্দেশ অনুযায়ী মোদী সরকারের গত মেয়াদে লোকসভায় বিলটি পেশ করেছিল সরকার। তা পাশও হয়ে গিয়েছিল লোকসভায়। কিন্তু রাজ্যসভায় সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে বিলটি পাশ করানো যায়নি। তাই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। ফের ক্ষমতায় এসে অধিবেশনের শুরুতেই তিন তালাক বিল পাস নিয়ে সওয়াল শুরু করে দেয় মোদী সরকার।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest