কলকাতা: যোগীর সভায় গরহাজির দলীয় প্রার্থীই। সোমবার এই কাণ্ডে চিন্তার ভাঁজ বিজেপি নেতৃত্বের কপালে। তবে কি তলে তলে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করেছেন প্রার্থী। না কি হারের আশঙ্কায় রণেভঙ্গ দিলেন আগেভাগে? জোর জল্পনা শুরু হয়েছে মুরলিধর স্ট্রিটের গেরুয়া বাড়ির কর্তাদের মধ্যে।
সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় ছিল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জনসভা। মতুয়া অধ্যুষিত এই আসনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। উদ্বাস্তুদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে সেখানে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া তারা। আগেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ঠাকুরনগরে সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেখা করেছেন বড়মা বীণাপানি দেবীর সঙ্গে। সোমবার বনগাঁ শহরে নির্বাচনী জনসভা করেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু সেখানে দেখা মেলেনি ওই কেন্দ্রের প্রার্থীরই।আর তাই বোধহয় প্রচারে এসে একবারও প্রার্থীর নাম করলেন না যোগী। আর এই নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে সভাস্থলে পৌঁছান যোগী আদিত্যনাথ। জেলাস্তরের তেমন কোনও নেতাকেও দেখা যায়নি মঞ্চে। এমনকী ভরেনি মাঠও। মঞ্চে আদিত্যনাথের মন্তব্য ঘিরেও শুরু হয় সমালোচনা। জানা গিয়েছে, সভা থেকে মোদি সরকার গঠনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি৷ উত্তর প্রদেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু দলকে ভোট দিতে বললেও, একবারের জন্যও প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি তাঁর মুখে। এতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস পাচ্ছেন সকলে।
প্রার্থীর গরহাজির থাকার খবর আগে থেকে ছিল না বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। শান্তনুর অনুপস্থিতির খবরে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দলের নেতাদের ফোনও ধরছেন না তিনি। শান্তনু ঠাকুরকে ফোন করা হলে ফোন ধরেন মতুয়া মহাসংঘের যুব সভাপতি তন্ময় বিশ্বাস। তিনি জানান, রবিবার রাত থেকে গুরুতর অসুস্থ শান্তনু ঠাকুর। প্রচন্ড গরম ও অনিয়মে তাঁর জ্বর ও পেট খারাপ হয়েছে। তিনি জানান, ‘রাতেই ডাক্তার ডেকে শান্তনুর চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়। সারা রাত স্যালাইন চলেছে। এখন ঘুমাচ্ছেন তিনি।’ সেকথা বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো হয়নি কেন? তন্ময়ের ছোট্ট জবাব, ‘সময় পাওয়া যায়নি।’ ভোটের মুখে দলের এই কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ ঠিক কী প্রভাব ফেলবে ভোটবাক্সে, তা ভাবাচ্ছে দলকে।