বছরের শেষ দিনে জোড়া খুনের সাক্ষী শহর। সোম বার দুপুরে টাংরার পাগলাদাঙা এলাকার রাস্তার উপরে কুপিয়ে খুন করা হয় এক যুবককে। জানা গিয়েছে বাইকে করে দুই দুষ্কৃতী এসে তারক মন্ডল নামে ওই যুবকের মাথায় আঘাত করে। আহত তারককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,এদিন সকালে কিছুজন দুষ্কৃতী তারকের বাড়ির সামনে এসে জমা হয়। তারক কে টেনে বের করে আনা হয় বাড়ি থেকে। রাস্তায় ফেলে তারক কে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে। এমন ঘটনায় হতবাক হয়ে যান এলাকার মানুষ। সেই সুযোগে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর দেওয়া হয় প্রগতি ময়দান থানার পুলিশকে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। খা টালে কাজ করার সুবাদে ওই যুবক ‘খাটাল তারক’ নামে পরিচিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কি কারণে তাঁকে খুন হতে হল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে,এদিন সকালে ট্যাংরা থেকে কয়েক্ কিমি দূরে বাসন্তী হাইওয়ের ধারে আরও এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত যুবকের নাম ইরফান খান। পেশায় ক্যাব চালক।
সি আই টি রোডের বাসিন্দা ইমরানের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রবিবার রাত দুটো নাগাদ যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি বলে বাড়িতে ফোন করে। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি ইমরানের। এদিন সকালে বাসন্তী হাইওয়ের কাছে একটি রাস্তার ধারে ক্যাবের দরজা খোলা অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকবাসী রা। গাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পরে ছিল ইমরানের দেহ। প্রগতি ময়দান থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ই এম বাইপাস থেকে বাসন্তী এক্সপ্রেসের দিকে যেতে সবকটি সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক দল।