চালু হওয়ার ১৫ মাসের মধ্যেই ঝাঁপ বন্ধ হচ্ছে প্যারিসের প্রথম ‘ন্যুড’ রেস্তরাঁ O’nature-এর৷ সূত্রের খবর, যে লক্ষ্মীলাভের আশায় রেস্তরাঁটি খোলা হয়েছিল৷ পনেরো মাস কেটে গেলেও, সেই পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায়নি৷ মুখ ফিরিয়েছেন দর্শকরা৷ ফলে লোকসানে চলা রেস্তরাঁটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিক মাইক ও স্টিফনি সাডা৷ ফেব্রুয়ারি থেকেই বন্ধ হচ্ছে রেস্তরাঁটি৷
অথচ শুরুটা হয়েছিল প্রবল প্রতিশ্রুতি নিয়ে।২০১৭ সালের নভেম্বরে এই অভিনব রেস্তরাঁর সূত্রপাত করেন ফ্রান্সের যমজ দুই ভাই-বোন মাইক ও স্টেফানে সাডা। মানুষকে ‘ন্যুড’ অবস্থায় খাবার উপভোগ করে দেওয়ার সুযোগ করে দিতেই এই অভিনব উদ্যোগ তাঁরা নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। শুরুর দিকে প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল মাইক ও স্টেফানের এই উদ্যোগ। কিন্তু যত দিন যেতে থাকে, ততই কমতে থাকে খরিদ্দারের সংখ্যা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে শেষে রেস্তরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত হতে বাধ্য হন তাঁরা.এই রেস্তরাঁ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনেকেই ব্যক্ত করেছেন এই রেস্তরাঁকে ঘিরে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা। এই রেস্তরাঁর খাবার রীতিমতো উন্নতমানের ছিল বলে জানিয়েছেন অনেকে। এই রেস্তরাঁয় গ্রাহকদের জন্য আলাদা একটি ঘর থাকতো। সেখানে নির্দিষ্ট লকারে নিজেদের জামা-কাপড়ের সঙ্গেই নিজেদের মোবাইল ফোনও রেখে আসতে হতো সকলকে। ছিল না ছবি তোলার অনুমতি। সকল গ্রাহকেই পা’য়ে পরবার জন্য স্লিপার দেওয়া হতো, যদিও মহিলারা ‘হিল’ দেওয়া জুতো পরতে পারতেন।একসঙ্গে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা, ছাড়াও ছিল একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ৷ খাবার থেকে শুরু করে রেস্তরাঁর সাজসজ্জা, প্রত্যেকটি বিষয়েই বেশ অভিনবত্ব এনেছিলেন মালিকরা৷ সমগ্র রেস্তরাঁটি ছিল বড় বড় পর্দা দিয়ে মোড়া৷ সঙ্গে রয়েছে নানা রঙের আলো৷ বেশ একটা মায়াবী পরিবেশ৷
যদিও এই রেস্তরাঁর ওয়েটাররা খাবার পরিবেশন করতেন পোশাক পরেই। ‘ন্যুড’ রেস্তরাঁয় খাবার পরিবেশনকারীদের পোশাক পরে থাকা পছন্দ করতে পারেননি অনেকেই। বিতর্কও হয়েছিল তা নিয়ে।