Site icon The News Nest

বর্ণবিদ্বেষের শিকার অধ্যাপিকা, রবীন্দ্রভারতীতে পর পর ইস্তফা অধ্যাপকদের

rabindra bharati university kolkata

#কলকাতা: চিকিৎসা ক্ষেত্রে সমস্যা মিটটেই এবার জট শিক্ষা ক্ষেত্রে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকাকে নিগ্রহের প্রতিবাদে বিভাগীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ৪ বিভাগীয় প্রধান।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের উদ্দেশে বেশ কিছু দিন ধরেই জাতপাত তুলে কটাক্ষের অভিযোগ উঠছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর বিরুদ্ধে। ভূগোলের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধানকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, জাতি বিদ্বেষ থেকেই এই আক্রমণ করা হয়েছিল তাঁকে। জাত-পাত নিয়ে কটূক্তির শিকার হন ওই অধ্যাপিকা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিভাগীয় পদ থেকে সরে এসেছেন চারজন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে কারও পদত্যাগ পত্র এখনও গ্রহণ করা হয়নি। যদিও ছাত্রসংগঠনের পাল্টা দাবি তাঁরা কোনওরকম আক্রমণই করেননি বরং তাঁরা নিয়মিত ক্লাস, সময় মতো সিলেবাস শেষ এবং অন্যান্য নায্য দাবিতেই সরব হয়েছিলেন।

ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ মে। সেদিন পরীক্ষার কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের প্রধান সরস্বতী কেরকেটাকে রীতিমতো নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত অধ্যাপিকার দাবি, ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁকে লক্ষ্য করে বোতল ছোঁড়েন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। এমনকী, জাত তুলে গালিগালাজ করা হয়, যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা দাবি করেন, অধ্যাপিকা সরস্বতী কেরকেটাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। ঘটনায় এতটাই মানসিক আঘাত পান যে, রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের প্রধান। ঘটনার তিনদিন পর, ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপিকা সরস্বতী কেরকেটা। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।এরই প্রতিবাদে অর্থনীতি, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, এডুকেশন এবং সংস্কৃত বিভাগের প্রধানরা পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন উপাচার্যের কাছে। দু’জন ডিরেক্টরও পদত্যাগ করতে চেয়েছেন।

পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আসরে নেমেছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলাবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে পৌঁছন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী ঘনিষ্ঠ মহলে এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। আলোচনার মাধ্যমে কী ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া যায়, তার চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে।

Exit mobile version