Site icon The News Nest

বসিরহাট কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির লালবাজার অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ

lalbazar

#কলকাতা: বিজেপি-র লালবাজার অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে গেল বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিটে। বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস থেকে জলকামান চালাতে হল পুলিশকে। গোটা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ জুড়ে পুলিশের সঙ্গে জায়গায় জায়গায় খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিশের। বেলা একটা কুড়ি মিনিট নাগাদ ওয়েলিংটন স্কোয়ার থেকে শুরু হয় মিছিল। বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের মুখে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড গড়ে আটকে দেওয়া হয় মিছিলকে। প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে দেয় বিজেপি কর্মীরা। তারপরই শুরু হয় জল কামান চালানো।

গত শনিবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সন্দেশখালি। এ ঘটনায় নিহত হন দুই বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল। হিংসার ঘটনায় নিহত হন আরেক তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লা। দেবদাস মণ্ডল-সহ আরও কয়েকজন কর্মী এখনও নিখোঁজ বলে দাবি বিজেপির। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার বসিরহাট মহকুমা এলাকায় বনধ ডাকে গেরুয়াবাহিনী। একইসঙ্গে সেদিন রাজ্যজুড়ে কালাদিবস পালন করে পদ্মশিবির। সন্দেশখালির ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সন্দেশখালিতে হিংসার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপিই। তাঁর দাবি, ‘‘ওদের দু’জন মারা গিয়েছে। ওরাই প্রথমে কায়ুমকে মারতে গিয়েছিল। কোনও মৃত্যকেই সমর্থন করি না। নিজেদের গুলিতে মারা গিয়েছে, না কী হয়েছে, তা দেখতে হবে’’।

সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে গত রবিবারই বিজেপি নেতৃত্ব এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিল। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। তাই কলকাতা পুলিশের সদর দফতরেই অভিযান করার সিদ্ধান্ত নেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহারা। সাময়িক ভাবে জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করা গেলেও, পুলিশের অনুমান ফের ধেয়ে আসতে পারেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাই ফের ব্যারিকেড তৈরি করেছে। কর্মসূচির মাঝেই মিছিলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি-র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। দলীয় কর্মীরাই তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে যান।

Exit mobile version