Site icon The News Nest

বাউন্ডারির বিচারে বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডের, ‘আজব’ নিয়মের সমালোচনায় সরব গম্ভীর

Gambhir NZ

নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফাইনাল গড়াল সুপার ওভার পর্যন্ত। সেখানেই টাই। প্রথমে ব্যাট করে সুপার ওভারে ইংল্যান্ড তুলল ১৫ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউ জিল্যান্ডও তুলল ১৫। কিন্তু ম্যাচ জিতে নিল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপও। কারণ, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারের মীমাংসা না হলে যে দল দল সেই ম্যাচে বেশি সংখ্যক বাউন্ডারি মেরেছে তাদের জয়ী বলে ঘোষণা করা হবে। কিন্তু আইসিসির এই নিয়ম কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা। ‘বাউন্ডারি কাউন্ট’-এর বিরুদ্ধে সরব সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকী, নিউজিল্যান্ডের এমন ট্র্যাজিক পরিণতির জন্য আইসিসিকে দুষলেন গৌতম গম্ভীরও।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার এমন ফলের সাক্ষী রইলেন দর্শকরা। কিউয়িদের স্বপ্নভঙ্গ করে ৪৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবার বিশ্বজয়ের খেতাব পেল ক্রিকেটের আবিষ্কর্তারা। ম্যাচে ২৪টি বাউন্ডারি মারে ইংলিশ বাহিনী। কিউয়িদের সংখ্যা ১৬। সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ড একটি ছক্কা হাঁকালেও ইংল্যান্ড জোড়া চার মারে। সবমিলিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার নিয়ম মেনে জিতে যান ইয়ন মর্গ্যানরা। কিন্তু এহেন নিয়মকে একেবারেই সমর্থন করছেন না ভারতীয় প্রাক্তন ওপেনার। টুইটারে আইসিসিকে একহাত নেন গম্ভীর। তিনি লেখেন, “বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কীভাবে বাউন্ডারির সংখ্যা দিয়ে ফলাফল বিচার করা হয়, বুঝতে পারি না। অত্যন্ত হাস্যকর একটা নিয়ম। এই ম্যাচকে টাই ঘোষণা করাই উচিত ছিল। রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচ উপহার দেওয়ায় আমি নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড- দুই দলকেই অভিনন্দন জানাই।”

আইসিসির নিয়ম নিয়ে নেটদুনিয়াতেও শুরু হয়েছে সমালোচনা। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন মিম। অনেকেই এই নিয়মের নিন্দা করে লিখেছেন, ‘গলি ক্রিকেটে এসব নিয়ম মানা যায়। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে নয়।” কিন্তু বাস্তবটাকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় কী? এসব সমালোচনাতেও হয়তো বদলাবে না আইসিসির নিয়ম। তবে নিউজিল্যান্ডের জন্য যে ব্যথিত ক্রিকেটপ্রেমীরা, আইসিসির বিরোধিতায় সেটাই প্রমাণিত।

 

Exit mobile version