Site icon The News Nest

বারাণসীতে প্রার্থীপদ বাতিল, কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ তেজ বাহাদুর যাদব

tej bahadur

#নয়াদিল্লি:  ‘চৌকিদার’ নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সপার টিকিটে বারাণসী লোকসভা কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়ার কথা ছিল ‘আসল চৌকিদার’ বিদ্রোহী বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদবের। কিন্তু প্রার্থীপদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেশ করতে না পারায় গত বুধবার তাঁর প্রার্থীপদের মনোনয়ন বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন সপা প্রার্থী। সোমবার কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করেছেন তেজ বাহাদুর। তিনি তাঁর আবেদনে জানান, পোল প্যানেলের এমন সিদ্ধান্ত পক্ষপাতদুষ্ট। কোনও সঠিক যুক্তি ছাড়াই তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেওয়া উচিত। জানা গিয়েছে, তাঁর পক্ষে সওয়াল করবেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দেওয়া খাবারের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে চাকরি হারানো প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন পদস্থ কর্তাদের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, ২৪ এপ্রিল প্রথমে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন তেজ বাহাদুর যাদব। সেই সময় তিনি বিএসএফ থেকে নিজের বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু সমাজবাদী পার্টির হয়ে দ্বিতীয়বার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়, তেজ বাহাদুর ওই বিষয়টির আর উল্লেখ করেননি বলেই দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। তেজ বাহাদুরকে ভোটে লড়বার যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও বিএসএফের তরফে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট ১ মের মধ্যে জমা দিতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। তা দিতে না পারায় ওই বিতর্কিত প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

প্রার্থীপদ বাতিল হতেই রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন বিএসএফের বরখাস্ত জওয়ান। তাঁর দাবি, মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার জন্য তাঁকে ৫০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথমে ভয় দেখিয়েছিল, তাতেও প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করায় মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে চাওয়া হয়েছিল। এখানেই থেমে থাকেননি তেজ বাহাদুর। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপির চাপেই তাঁর মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তেজ বাহাদুর নিজেই ঘোষণা করেছিলেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল সেনার অন্দরের দুর্নীতি দূর করে স্বচ্ছতা আনা। সেনা জওয়ানদের প্রতি মোদি সরকারের করা অবিচারের প্রতিবাদ করা।  পরে সমাজবাদী পার্টি তাঁর পাশে দাঁড়ায়। নিজেদের প্রার্থী শালিনী যাদবের নাম প্রত্যাহার করে তেজ বাহাদুরকেই মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন অখিলেশ। লক্ষ্য ছিল, সেনার প্রতি ভোটারদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রীকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা।

 

Exit mobile version