বিজেপিতে আরও এক তৃণমূল বিধায়ক, গেরুয়া হল আরও এক পুরসভা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#কলকাতা: যা আন্দাজ করা হয়েছিল সেটাই হল। বিজেপিতে যোগ দিলেন নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিং। তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন গাড়ুলিয়া পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলর। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানও দল বদলে নিয়েছেন। ফলে বোর্ড না ফেলেই বোর্ডের রং বদলে দিতে পেরেছেন সুনীলরা।

সুনীল সিং অর্জুন সিংয়ের আত্মীয়। তৃণমূলের টিকিটে নোয়াপাড়ার বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। অর্জুন সিং বিজেপিতে যাওয়ার পর তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছিল। রবিবারই দিল্লি পৌঁছেছিলেন সুনীল সিংহ। আর সে খবর ছড়ানোর পরে দলবদলের জল্পনা জোরদার হয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক শিবিরে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সে জল্পনাকে নস্যাৎ করার চেষ্টাও তৃণমূল করেনি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ রবিবারই জানিয়েছিলেন যে, নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহ এবং গারুলিয়া পুরসভার বেশ কিছু কাউন্সিলরের দিল্লি যাওয়ার খবর দলের কাছেও রয়েছে। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে নির্মল জানিয়েছিলেন।

বিজেপি সদর দফতরে এ দিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন সুনীল এবং কাউন্সিলররা। তাঁদেরকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদও দেওয়া হয়। শিল্পাঞ্চলে এর আগেই ভাটপাড়া, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর এবং নৈহাটি পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরকে নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছে বিজেপি। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল গারুলিয়া পুরসভার নামও। সুনীল বিজেপি-তে যাওয়ার পরই নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক তাঁকে ‘গদ্দার’ বলে তোপ দেগেছেন। পাল্টা দিল্লি থেকে সুনীল বলেন, “গদ্দার পার্থ ভৌমিক নিজে। কারণ উনি মানুষের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন।” এ দিনের যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিং। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন বলেন, “এ তো সবে শুরু হল। কত বিধায়ক আসবে শুধু দেখতে থাকুন।”

জানা গিয়েছে বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বাজিত দাসও নাকি দিল্লি গিয়েছেন। সঙ্গে পুরসভার সংখযাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর। মঙ্গলবার তাঁরা যোগ দেবেন বিজেপি-তে। অর্জুন সিং বলেন, “দিদিমণির বাজার পড়ে গিয়েছে। আমি তো আগেই বলেছিলাম, আমি একা নই। গারুলিয়ার পর আশেপাশের পুরসভাও কোমর বেঁধেছে। কালকে বনগাঁ। তারপর ব্যারাকপুর, উত্তর ব্যারাকপুর, খড়দহ—সব চলে যাবে তৃণমূলের হাত থেকে।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest