Site icon The News Nest

বিজেপির অভিনন্দনযাত্রা ঘিরে রণক্ষেত্র দক্ষিণ দিনাজপুর, চলল লাঠি-গুলি-ইটপাটকেল, মাথা ফাটল পুলিশের

bjp gangarampur

#গঙ্গারামপুর: দু’দিন আগেই নিমতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আর কোনও বিজয় মিছিল করতে দেওয়া হবে না রাজ্যে। এনাফ ইজ এনাফ। পাল্টা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী যত আটকাবেন বিজেপি তত মিছিল করবে। সে দিনই বোঝা গিয়েছিল উত্তেজনা বাড়বে। হলও তাই। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজয় মিছিল ঘিরে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল একাধিক এলাকা। চলল লাঠি। আহত হলেন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। পাল্টা ইটবৃষ্টিতে রক্ত ঝরল পুলিশেরও।

লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি ভাল ফল করেছে। সে কারণেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দলের তরফে নাগরিক সম্বর্ধনা, অভিনন্দন যাত্রার মতো কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন বুনিয়াদপুরে সেই কর্মসূচিতেই অংশ নিয়েছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাটের সদ্য জেতা বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বুনিয়াদপুরের কর্মসূচি সেরে বালুরঘাট যাওয়ার পথে দুপুর ১টা নাগাদ দিলীপবাবুরা এসে পৌঁছন গঙ্গারামপুরে। সেখানে কালীতলায় দিলীপবাবুর নাগরিক সম্বর্ধনা সেরে বিশাল এক মিছিল নিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগোন। ওই মিছিলেরই একেবারে সামনে ছিলেন দিলীপবাবুরা। পুনর্ভবা সেতুর কাছে পৌঁছতেই পুলিশ ওই মিছিলকে আটকে দেয় বলে বিজেপি-র অভিযোগ।

ব্যারিকেড করে রাস্তা আটকে রাখে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের জানিয়ে দেওয়া হয়, এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে। তাই মিছিল করা যাবে না। এর পরেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বেধে যায়। মিনিট কয়েকের মধ্যেই শুরু হয় ইটবৃষ্টি। উড়ে আসা সেই ইটের ঘায়ে আহত হন বেশ কয়েক জন। তাদের মধ্যে ১০-১২ জন পুলিশ কর্মীও রয়েছেন। মাথা ফেটে যায় বিভু ভট্টাচার্য নামে গঙ্গারামপুর থানার এক সাব ইনস্পেক্টরের। পুলিশ এর পর পাল্টা লাঠিচার্জ করা শুরু করে। পরিস্থিতি আচমকাই হাতের বাইরে চলে যায়। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে য়ায় প্রবল মারপিট। শেষে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র দাবি পুলিশ তিন রাউন্ড গুলিও চালিয়েছে। তারা আরও দাবি করে, গোটা ঘটনায় তাদের দলের ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন। যদিও পুলিশের তরফে গুলি চালানোর কথা স্বীকার করা হয়নি।

ঘটনার সময় দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে নিরাপদ জায়গায় রাস্তার পাশেই সরিয়ে নিয়ে যান। পরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাস্তায় হাঁটলে সমস্যাটা কী? পুলিশ দিয়ে আগে থেকে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। কেন ১৪৪ ধারা? এটা কি কাশ্মীর? মুখ্যমন্ত্রীর এমন অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা, এ নিয়ে কী বলব!’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘‘গঙ্গারামপুর গুন্ডা-মস্তানদের জায়গা। দুষ্কৃতিকারী আর পুলিশ মিলে এটা করেছে। এই জেলার পুলিশ সুপারের মদতেই এ সব হয়েছে।’’

Exit mobile version