Site icon The News Nest

বিজেপির ধর্মনিরপেক্ষতাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে কমিশনের নিরপেক্ষতা!

MODI2

#নয়াদিল্লি: বাইরে থেকে হুঙ্কার ছাড়লেও বিজেপি যে দেশজুড়েই আতঙ্কে রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। চাপে রয়েছে বলেই তারা বিষ্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে। মরিয়া হয়ে মোদী আর আদর্শ নির্বাচনবিধিকে পাত্তা দিচ্ছেন না। রাজনৈতিক মহলের মতে নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড কতখানি শক্ত সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা মোদীর রয়েছে। তাই বলে বলে কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশন নামক এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে বিরোধীদের বিস্তর অভিযোগ। কেউ কেউ এখন মস্করা করে বলছেন বিজেপির উচিত ছিল কমিশনকেও টিকিট দেওয়া। ইসি নাম নিয়ে তারা এনডিএ’র জোট শরিক হয়ে লড়তে পারত। তাতে তাদের কাছে নিরপেক্ষতার দাবিটুকুও কেউ করত না। কমিশনার প্রতি রাজনৈতিক দলগুলির এই মনোভাবের কারণগুলি দেখে নেওয়া যেতে পারে। ১. নরেন্দ্র মোদী ভোট প্রচারে সেনার নামে ভোট ভিক্ষা করেন। যা নির্বাচনবিধি বিরুদ্ধ। ২. রাহুলের ওয়েনাড়ে ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে তিনি বলেছিলেন সংখ্যাগুরু এলাকায় রাহুল জয়ী হতে পারবেন না।তাই যেখানে হিন্দুদের জনসংখ্যা কম সেখানে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। এই মন্তব্যও বিধি বিরুদ্ধ। ৩. মমতার বাংলায় ভোট প্রচারে এসে মোদী বলেন দিদির ৪০জন বিধায়ক লাগাতার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এটাকেও বিধিভঙ্গ বলে মনে করেনি কমিশন। কিন্তু বিরোধীদের বেলায় বেজায় কড়া ইসি।

মোদীর বিরুদ্ধে বারাণসীতে প্রার্থী হয়েছিলেন বরখাস্ত বিএসএফ জওয়ান তেজবাহাদুর যাদব। তাঁকে প্রার্থী করেছিল সপা-বসপা। সেনাবাহিনীতে খাবারের গুনগতমান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তেজবাহাদুরকে বলা হয় মঙ্গলবারের মধ্যে নো অবজেকশন সার্টিফেকেট আনতে হবে। একেবারে শেষ সময় একথা জানায় কমিশন। একদিন বাড়তি সময় নিয়ে বুধবার সেই কাগজও জমা দেন। তারপরও তেজবাহাদুরের মনোনয়ন বাতিল করে দেয় কমিশন। অথচ সাধ্বী প্রজ্ঞার ব্যাপারে কোনও আপত্তি করেনি কমিশন। প্রজ্ঞাকে এখনও ক্লিনচিট দেয়নি আদালত। তিনি জামিনে ছাড় পেয়েছেন মাত্র। বিষ্ফোরণের অভিযোগে অভিযুক্তকে ছাড়পত্র দিল কমিশন। খারাপ খাবার নিয়ে প্রশ্ন তোলার অপরাধে বিজেপি তেজবাহাদুরকে দেশদ্রোহী বলে অভিযোগ করেছিল। শেষে তাঁর মনোনয়ন জমা না নেওয়াটাও ভাল চোখে দেখছে না আমজনতা। কমিশনের বডিল্যাঙ্গুয়েজেও অনেকে বিজেপির ছবি দেখেছেন। লাগাতার মোদীকে ক্লিনচিট দিয়ে কমিশন প্রমাণ করেছে মোদী জমানায় সবই মোদীময়। তবে শেষমুহূর্তে কংগ্রেস ছুটেছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। কোন যুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে বেকসুর ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তা সোমবার কমিশনের আইনজীবীর কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। প্রধানমন্ত্রীকে ছাড়ের নির্দেশিকা সঙ্গে না থাকায় আগামী বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সেই কাগজ আদালতকে জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কমিশন। আপাতত সুপ্রিম রায়ের দিকেই তাকিয়ে দেশ।

Exit mobile version