বিরোধী দলের নেতা হিসেবে প্রথম ভাষণেই লোকসভায় ঝড় তুললেন অধীর চৌধুরী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নয়াদিল্লি: প্রস্তুতির জন্য সময় মিলেছে মেরেকেটে ১টা দিন। তার মধ্যেই প্রস্তুতি সেরে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হিসাবে মুগ্ধ করলেন অধীর চৌধুরী। বুধবার লোকসভায় স্পিকার নির্বাচনের পর তাঁর ভাষণে বিরোধী বেঞ্চ তো বটেই করতালির ঝড় ওঠে ট্রেজারি বেঞ্চেও। দলের পর্যাপ্ত সাংসদের অভাবে বিরোধী দলনেতার মর্যাদা না পেলেও, বুধবার লোকসভায় তাঁর নতুন ইনিংসের প্রথম দিনের ভাষণেই কংগ্রেস দলনেতা বুঝিয়ে দিলেন, বিনা যুদ্ধে তিনি ছাড়বেন না সূচ্যগ্র মেদিনীও। কোনও রকমের আপস করবেন না ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে।

নতুন স্পিকার ওম বিড়লা এ দিন তাঁর আসনে বসার পরেই সভায় প্রথম বলার সুযোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তার পরেই বলার সুযোগ পান কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। স্পিকার তাঁর নাম ঘোষণা করেন দু’বার। তাঁর ভাষণে একটি শায়েরিকে উদ্ধৃত করে অধীর বলেন, ”দেশটা এমন হোক, আমাদের সমাজটা এমন হোক যাতে এক জন মুসলিম মসজিদে গিয়ে রামকে খুঁজে পান। এক জন পণ্ডিত (হিন্দু) যেন মন্দিরে গিয়ে খুঁজে পান রহমানকে। বিভেদে যেন খণ্ডিত না হয়ে যায় দেশ। মা্নুষ যেন মানুষকে্ই খুঁজে পান। কোনও ধর্মের রং প্রকট না হয়ে ওঠে। যেন ধর্ম যেন হয়ে ওঠে ঐক্য, সংহতির চালিকাশক্তি। সমাজটাকে আমাদের সেই ভাবেই গড়ে তুলতে হবে।”

নতুন স্পিকারের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছাবার্তায় বহরমপুরের সাংসদ বলেন, খুদাসে কেয়া মাঙ্গু, তেরে বাস্তে, সদা খুশিসে ভরে হো তেরে রাস্তে। হসি তেরে চ্যাহেরে পে রহে ইস তরাহ। খুশবু ফুলও কে সাথ রহতি হ্যায় জিস তরাহ। তাঁর আগে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী এ দিন বলেন, “আমি কারও পক্ষে যেতে চাই না। যেতে চাই না কারও বিপক্ষেও। আমি নিরপেক্ষ থাকতে চাই।”অধীর প্রধানমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের উল্লেখ করে নতুন স্পিকারকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আজ যে কথা বলেছেন, আমি চাই, সেই মতো আপনিও লোকসভায় কোনও আলোচনা, বিতর্কে কারও পক্ষে বা কারও বিপক্ষে না গিয়ে নিরপেক্ষ থাকুন পুরোপুরি। সেটাই ভারতীয় গণতন্ত্র, ভারতীয় সংবিধানের মর্ম কথা।ভারতের গণতন্ত্র বহুদলীয় গণতন্ত্র। তাই আপনাকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কখনও জয় শ্রী রাম, কখনও আল্লা হু আকবর, কখনও জয় কালী বলে যে নজির তৈরি করলেন সাংসদরা তা ঠিক নয়। সংসদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।”

আর সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস যে আদর্শ বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে, সেই অঙ্গীকারও করেন অধীর। স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, “আপনার কোটার (রাজস্থানের কোটা লোকসভা আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন স্পিকার) কচুরি খুব বিখ্যাত। খুব সুস্বাদু। আমি চাই, আপনার সভাপতিত্বে এই সভার আলোচনা, বিতর্কও যেন সুস্বাদু থাকে সব সময়। তা যেন খিচুড়ি না হয়ে না যায়। আমরা বিরোধীরা সেই দিকে কড়া নজর রাখব।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বহরমপুরের সাংসদকে লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করে দল। বাংলার কাছে এটা যে একটা বড়ো প্রাপ্তি তা তো বলাই বাহুল্য। সেই আসঙ্গে আরও একটা প্রাপ্তি হল, লোকসভা স্পিকারের বাঁ দিকের আসনের প্রথম সারিতেই বসতে দেখা গিয়েছে অধীরবাবুকে। সনিয়া, রাহুলরা ছিলেন তাঁর বাঁ দিকে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest