#মুম্বই: দিন কয়েক আগেই শোনা গিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে পারেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপের ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি যুবি বলেছিলেন, তিনি এ বার থেকে শুধু টি টোয়েন্টি লিগেই মন দিতে চান। শুধু আইপিএল নয়, সিপিএল, বিগ ব্যাশের মতো টি টোয়েন্টি লিগে খেলার ইচ্ছের কথাও জানিয়েছিলেন যুবরাজ। সোমবার মুম্বইয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেন যুবরাজ। ইমোশনাল গলায় তিনি বলেন, “যত দিন খেলেছি, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ভারতের হয়ে অনেক ভালো স্মৃতি রয়েছে আমার। সেগুলো কোনও দিনও ভুলব না।”
পঞ্জাবতনয় চেয়েছিলেন, ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলেই তিনি অবসরের কথা জানিয়ে দেবেন। মানুষ যা ভাবে, তা তো সব সময়ে হয় না। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, বিরাট কোহালিরা যখন রাণীর দেশে নিজেদের নিংড়ে দিচ্ছেন, তখনই যুবরাজ হৃদয়বিদারক সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললেন। তাঁর অবসর নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। শেষের দিকে প্রায় প্রতিটি সাংবাদিক বৈঠকেই নিয়ম করে তাঁকে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হত, কবে অবসব নেবেন? চুপ করে থাকতেন যুবি। একই প্রশ্ন শুনতে শুনতে বিরক্ত বাঁ হাতি অলরাউন্ডার এক বার বলে ফেলেছিলেন, ‘‘একটা সময়ের পর সবাইকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ২০০০ সাল থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। ১৭-১৮ বছর হয়ে গেল। ২০১৯-এর পর আমি এই ব্যাপারে ভাবব।’’কথা রাখলেন না যুবরাজ। বছর ঘোরার আগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন।
যুবরাজ সিংহের ক্রিকেট কেরিয়ার কম বর্ণময় নয়। কেরিয়ারে আকাশ ছুঁয়েছেন তিনি। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছ’টা ছক্কা হাঁকানো, ২০১১ বিশ্বকাপ প্রায় একার হাতেই জিতিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতির পরে ফিরে আসেন রাজকীয় ভাবেই। আইপিএল খেলে জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন সফল হবে না বুঝতে পেরেই বিশ্বকাপের মাঝখানে অবসরের ঘোষণা করে দিলেন তিনি।