#নয়াদিল্লি: বুথফেরত সমীক্ষার ‘গুজব’কে বিশেষ কান দেওয়ার দরকার নেই। কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের এমনই বার্তা দিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। একটি অডিও বার্তায় প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, ফল প্রকাশের আগে কর্মী সমর্থকদের মনোবল দুর্বল করে দেওয়ার জন্যই এই বুথফেরত সমীক্ষা করা হয়েছে।
অডিও বার্তায় প্রিয়ঙ্কা বলেন, “কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থক আমার ভাই বোনেরা, দয়া করে বুথফেরত সমীক্ষার গুজবে কান দেবেন না। দয়া করে হতাশ হয়ে পড়বেন না। আমাদের প্রতিজ্ঞাকে ভেঙে ফেলার জন্যই এটা করা হয়েছে। আমাদের সবাইকে এখন সতর্ক থাকতে হবে। গণনাকেন্দ্র এবং স্ট্রং রুমের সামনে কড়া পাহারায় থাকুন। আমি নিশ্চিত আমরা ভালো ফল করবই।” একই রকম কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়ে, স্ট্রং রুমগুলোয় কড়া পাহারায় থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনিও।
রবিবার সন্ধ্যা থেকে একের পর এক যে বুথফেরত সমীক্ষা এসেছে, তাতে মোটামুটি সবাই জানিয়েছে, ক্ষমতায় আবার ফিরবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। যদিও এনডিএ-এর প্রাপ্ত আসন নিয়ে অনেকেই দ্বিধাবিভক্ত। কেউ এনডিএ-এর আসনকে আড়াইশোর কমেই রেখে দিয়েছে, তো কেউ ৩২০-ও পার করিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে বুথফেরত সমীক্ষার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে অনেক জায়গাতেই। এ দিকে বুথফেরত সমীক্ষার পরেও এখনও সে ভাবে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিজেপিও। সোমবার দিনভর চুপ রইলেন প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ অবশ্য বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী, এনডিএর শরিকদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শাহের ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, ‘‘সভাপতি যা বলার ২৩ মে আসল ফলের পরেই বলবেন।’’ ঘরোয়া মহলে অবশ্য দলের অনেক নেতাই এখনও পুরোপুরি আশ্বস্ত নন। তাঁদের অনেকেই মনে করছেন, বাস্তব যা পরিস্থিতি, তাতে তিনশো পার করা কঠিন। সে ক্ষেত্রে যদি সরকার গড়ার জন্যও আরও শরিক প্রয়োজন হয়? সে কারণে এখন থেকেই আগ বাড়িয়ে উত্তেজনা দেখানো ঠিক নয়। যে-সব সমীক্ষা গত কাল এনডিএ-কে তিনশো পার করিয়েছে, তাদের অনেকে আবার আসন-বিন্যাস দেখানো বন্ধ করেছে। হিসেবে গরমিল আসতেও শুরু করেছে। ফলে বিজেপি দফতরে সাজগোজ শুরু হলেও, নেতাদের উচ্ছ্বাস দেখাতে বারণ করা হয়েছে।
বুথফেরত সমীক্ষাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস নেতা শশী তারুর। তিনি বলেছেন, ‘‘সদ্য অস্ট্রেলিয়ায় বুথফেরত সমীক্ষার ফল মেলেনি। আমরা ২৩ তারিখের জন্য অপেক্ষা করব।’’ আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘যে উত্তরাখণ্ডে আমরা ভোটেও লড়িনি, সেখানেও আমাদের দলকে ৩% ভোট দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এ সব সমীক্ষার কোনও মূল্যই নেই।’’