নয়াদিল্লি : উন্নয়নের কথা ফলাও করে প্রচার করতে জুড়ি নেই প্রধানমন্ত্রীর। বারবার গলা ছেড়ে কখনো ডিজিটাল ইন্ডিয়া কখনো বা মেক ইন ইন্ডিয়ার স্লোগান দেন তিনি। অথচ বিএসএনএল এর কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। ডিজিটাল ইন্ডিয়া বলে যে গল্প তিনি মানুষকে শুনিয়েছেন তা যে কেবল মুকেশ আম্বানির সৌজন্যে তা জানতে বাকি নেই কারোর। বিএসএনএলের কর্মীদের বেতন না হওয়ার বিষয়টি মোদী সরকার জেনেছে। আগেই কিন্তু কোন বব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। মোদী বিরোধীদের বক্তব্য হয়তো নরেন্দ্র মোদী একথা জানলে নতুন করে উদ্বোধন করতে নেমে পড়বেন ভেঙে পড়া সংস্থাটিকে । কিন্তু তাতেও এখন বাধ সাধছে ভোট।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক অনটনে ভুগলেও বিএসএনএলের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। সংস্থার ১,৭৬,০০০ কর্মী এখনো ফেব্রুয়ারির বেতন পাননি। জানা গিয়েছে, বিএসএনএলের বছরে যা আয় তার ৫৫ শতাংশ কর্মীদের বেতন দিতেই চলে যায়। প্রতি বছর ৮ শতাংশ হরে সেই খরচ বাড়ছে। কিন্তু সংস্থার আয় বাড়ছে না একদমই।
বিএসএনএল-এর পুনরুজ্জীবনের দাবিতে ইতিমধ্যে টেলিকম মন্ত্রী মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করেছেন সংস্থার কর্মীরা। তাদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের বকেয়া বেতন চোকাতে বরাদ্দ মঞ্জুর করুন মন্ত্রী। একই সঙ্গে সংস্থার পুনরুজ্জীবনের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। বিএসএনএল-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেরল, জম্মু ও কাশ্মীর ও ওড়িশায় ফেব্রুয়ারির বেতন দেওয়া শুরু হয়েছে। টাকা এলে বাকিদের বেতনও ধীরে ধীরে দেওয়া হবে।