Site icon The News Nest

ব্যান্ডেল স্টেশনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতা, প্রতিবাদে কাল ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক

bandel shootout

#কলকাতা: শনিবার সাতসকালে ব্যান্ডেলে স্টেশনে রেললাইনের উপরেই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ঋতু সিংয়ের স্বামী দিলীপ রাম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় চুঁচুড়া হাসপাতালে। জানা গিয়েছিল, মাথার পিছনে গুলি লেগেছে তাঁর। পরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। আচমকাই এ হেন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত ব্যক্তি ওই এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী। ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের প্রধান ঋতু সিংহের স্বামী দিলীপ। তিনি পূর্ব রেলের কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপে কর্মরত ছিলেন। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার চুঁচুড়া বনধের ডাক দিয়েছে তৃণমূল।

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ট্রেন ধরার জন্য ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাচ্ছিলেন দিলীপ। তখনই আততায়ীরা তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন দিলীপ। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এ নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয়। হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দিলীপকে খুন করেছে।

এই ঘটনার নেপথ্যে বিজু পাসওয়ান জড়িত থাকতে পারে বলে তৃণমূলের একটা অংশের অভিযোগ। বিজুর ভাই কুখ্যাত দুষ্কৃতী লালা পাসওয়ান জেলে রয়েছে। বিজেপিই বিজুকে দিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ দিলীপ অনুগামীদেরও। তবে ওই তৃণমূল নেতার পরিবার সূত্রে খবর, বিজুর সঙ্গে বেশ কয়েক বার ঝামেলা হয়েছিল দিলীপের। এ নিয়ে বিজু খুনের হুমকি দেয়। যদিও বিজেপি এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ব্যান্ডেলের পঞ্চায়েত প্রধান রীতু সিংহ এবং তাঁর স্বামী দিলীপ আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দলের মধ্যে ঝামেলার কারণেই খুন হয়েছেন দিলীপ। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নেই।

পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ব্যান্ডেল জিআরপি ও ব্যান্ডেল পুলিস ফাঁড়ি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস মনে করছে, অনেকদিন ধরেই খুনের ছক কষা হয়েছিল। দিলীপ রামের গতিবিধির উপরে নজর রাখা হচ্ছিল। সাধারণত অফিসে যাওয়ার সময় একা থাকেন দিলীপ রাম। হামলার জন্য তাই এই সময়টাই বেছে নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, অপারেশন সেরে পালিয়ে যাওয়ার অনেক পথ থাকায় স্টেশনকেই বেছে নিয়েছিল আততায়ীরা।  খুনের আগে রেইকিও করা হয়েছিল।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, দিন দুয়েক আগে হুমকি ফোন এসেছিল দিলীপ রামের কাছে। পুলিসকে সেকথা জানানো হয়েছিল। দুটো নম্বরও দেওয়া হয়েছিল পুলিসকে। কিন্তু কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। জানা যাচ্ছে, কল দুটো এসেছিল ঝাড়খণ্ড থেকে। আজকের খুনের সঙ্গে এই ফোন কলের কোনও যোগসাজশ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

 

 

Exit mobile version