কলকাতা: ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের হাজির করতে ৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ওই চারটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে বিজেপি।ঝাড়গ্রাম, লালগোলা, পুরুলিয়া, রামপুরহাট থেকে ইতিমধ্যে ট্রেন রওনা দিয়েছে। কিন্তু ঝাড়গ্রাম থেকে যে বিশেষ ট্রেন ছাড়ল, তার একটি কামরাও ভর্তি হল না পুরো। বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, এবারে মোদীর ব্রিগেড নাকি এযাবত্কালের সবচেয়ে বড় ব্রিগেড হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে অন্য কথা।
বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশে ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে কয়েক হাজার লোক নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। জঙ্গল মহল থেকে প্রচুর মানুষ মোদীর সভায় যোগ দেবেন, এই আশায় বিজেপির পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।ভোর ৪টের সময় ট্রেন হাওড়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও সেসময় লোক হয়নি দেখে ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। পৌনে সাতটা নাগাদ শেষমেশ ট্রেন ছাড়ে। তবুও ভরেনি ট্রেনের একটি কামরাও।
ঝাড়গ্রাম শহর বিজেপির পক্ষ থেকে একটি ৭০-৮০ জনের মিছিল ভোর চারটের সময় ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছয়। ভোর ৬ টা পর্যন্ত মেরেকেটে লোক হয় ১৫০ জন। ট্রেনের সময় সূচিপরিবর্তনের পাশাপাশি খড়গপুর ও মেছেদায় ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হবে। এই আশায় অন্তত ট্রেনটি যাতে ভর্তি হয়। জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে বিজেপির পক্ষ থেকে দলীয় কর্মীদের কলকাতায় আনার জন্য ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশন বা আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে ‘ফুল ট্যারিফ রেট’ (এফটিআর) অর্থাৎ ভাড়ার নির্দিষ্ট হার মেনে চারটি ট্রেন নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ট্রেনের সব আসনে যাত্রী থাকলে যে-ভাড়া পড়ে, তার থেকে কিছু বেশি টাকা দিতে হয়।রেলের এক আধিকারিক জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা এবং রেলের নিয়ম মেনেই টাকা দিয়ে বিজেপির তরফে ওই চারটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। চারটি ট্রেনেই সাধারণ শ্রেণির কামরা থাকবে। সমাবেশ শেষ হওয়ার পরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ট্রেনগুলি নির্দিষ্ট গন্তব্যে ফিরে যাবে।
অন্যদিকে, মোদীর জনসভার জন্য শিয়ালদহ ডিভিশনে ছ’জোড়া অতিরিক্ত ট্রেন চালাবে রেল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে শিয়ালদহ থেকে দমদম, নৈহাটি, কল্যাণী, রানাঘাট, বারুইপুর, সোনারপুরের দিকে চলবে সেই সব ট্রেন। সমাবেশের পরে শিয়ালদহে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে বলে অনুমান করেই অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হচ্ছে। তবে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলে লোকাল ট্রেন বাড়ানোর খবর নেই।