বাংলাদেশ নয়া ঝড় সুপ্রভা মাহবুব সানাই। অভিনয়ের জন্য নয়, সানাই ঝড় তুলেছেন ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করে ।বাংলাদেশের মত দেশে সানাই একথা ফলাও করে প্রচার করছেন। তিনি নিজেকে নায়িকা মনে করেন। নিজেকে বলার কারণ হল এখনো পর্যন্ত বলার মত কোন ছবি সানাইয়ের বাজারে আসেনি। অথচ তিনি বারবারই বলেন তিনি অত্যন্ত সুন্দরী নায়িকা। এই সৌন্দর্য আরো বাড়াবার জন্য ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করেছেন তিনি । তাকে নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া । ছেলে বুড়ো সকলেই । এই ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত কিন্তু কি বলছেন সানাই। ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে সানাই রাখঢাক না করেই বলেছেন নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে তিনি ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করিয়েছেন। কিন্তু আকর্ষণীয় বলতে সানাই কি মনে করেন তা স্পষ্ট হয়নি। সম্ভবত এই আকর্ষণীয় বলতে তিনি যৌনতাকেই বুঝিয়েছেন। যদি তাই হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কোনো অপরাধ করেননি সানাই। মানুষের ব্যক্তি অধিকার রয়েছে নিজেকে প্রকাশ করার -তা বহিরঙ্গ হতে পারে অন্তরঙ্গ। তবে সানাইকে নিয়ে সে দেশের মিডিয়া নিরন্তর ময়নাতদন্ত করছে। এতে অবশ্য একটা নেগেটিভ পাবলিসিটি পাচ্ছেন এই নায়িকা-যার কোন ছবি এখনো পর্যন্ত রিলিজ হয়নি বাংলাদেশে।মিডিয়ার একাংশের দাবি, ইন্ডাস্ট্রিতে কদর নেই সে কারণেই এই পন্থা অবলম্বন করে তিনি আসলে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন। সানাইকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মনে প্রানে তিনি নায়িকা। আর নায়িকা মানেই একটা স্বপ্ন। সে কারণেই মানুষ কথায় কথায় বলেন,মেয়েটি নায়িকার মত সুন্দরী। অভিনেত্রীর মত বলেন না কেউই। কারণ অভিনেত্রী নানা রূপের হতে পারেন কিন্তু নায়িকা যেন স্বর্গের অপ্সরা। সকলের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সকলের চিরদিনের কামনার পাত্রী। সে কারণেই সানাই মনে করেন,তাঁর কাছে নায়িকার কদর সবার উপরে। মানুষের স্বপ্নে তাঁর বাস। মানুষের কামনায় মানুষের কামনায় তিনি বেঁচে থাকেন। বহু নায়িকা রয়েছেন যারা যৌবন ফুরানোর পর আর প্রকাশ্যে ছবি দেখান না। কারণ যে স্বপ্ন দ্বারা তৈরি করেছেন তা ভেঙে দিতে চান না তাঁরা তাহলে ভক্তকুল কি সারা জীবন এক নীল স্বপ্নের মধ্যে বেঁধে রাখতে চান সানাই?
প্রশ্ন ওঠে, অভিনয় করতে গেলে এই ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট কি খুব জরুরি? উত্তরে সানাই বলেছেন,”আমি চাই আমার সৌন্দর্য ভরা থাক মানুষের চোখে-মানুষের মনে। তাছাড়া এটি প্রথম নয় পশ্চিমী দেশে সাধারণ মেয়েরাও নিজের ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করে থাকেন এদেশে যেমন মেয়েরা আকছার ভ্রু প্লাক করেন কিংবা চুল কাটেন ব্যাপারটা অনেকটা সেরকমই।” কিন্তু বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ।দরিদ্র অশিক্ষিত সংখ্যা এখন অনেক বেশি। স্বভাবতই সেখানে এটি নিয়ে চলছে নিরন্তর চর্চা নেটিজেনদের।বক্তব্য সানাই যেভাবে তার বক্ষ প্রদর্শন করছেন তাতে গণমাধ্যমে চোখ রাখা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। শালীনতা সীমা ছাড়াচ্ছে। আজকাল সোশ্যাল সাইটে তরুণ-তরুণী থেকে কিশোর কিশোরী এমনকি শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই থাকেন তাই নিজেকে প্রেজেন্ট করার আগে সে কথা ভাবতে হবে। কেবল সস্তা পাবলিসিটির জন্য এমন কাজ করলে চলবে না।
সানাইয়ের দাবি ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট এর পর থেকে তার কাছে ছবির অফার আসছে। তবে একজনের ব্রেস্ট এর উচ্চতা বর্ধিত হলে কোন যুক্তিতে তিনি বেশি ছবির অফার পাবেন তা বোধগম্য হচ্ছে না কারোরই। প্রশ্ন উঠছে এই উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কি তার অভিনয় দক্ষতা ও বেড়েছে নাকি গোটাটাই শরীরের ম্যাজিক। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে তা সোশ্যাল সাইটে ছবি পোস্টিং উপযুক্ত হবে। বৃহত্তর ও চলচ্চিত্রে তা বিশেষ ভূমিকা রাখবে না। সানাই অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন বহিরঙ্গের এ পরিবর্তন আসলে তার মন রজ্যের পরিবর্তনে বহিঃপ্রকাশ। তিনি পেরেছেন, বাকিরা পারেননি তাই তাঁকে নিয়ে কাটাছেড়া হচ্ছে। কিন্তু এগুলি কি তিনি পাত্তা দিতে নারাজ। যেকোনো জিনিস প্রথম তৈরি হলে তা নিয়ে আলোচনা হবেই। সানাই বরং সুচতুরভাবে এই আলোচনা কি তার পেশার সংযুক্ত করতেই বেশি আগ্রহী।ba