Site icon The News Nest

ভবিষ্যতের ভূত বিপাকে রাজ্য, ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপ্রিম নির্দেশ

bhobishyoter bhoot

নয়াদিল্লি: ভবিষ্যতের ভূত’ বন্ধ করায় জরিমানার মুখে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করল সুপ্রিম কোর্ট। বাক স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করার জন্য প্রযোজক সংস্থা ও হল মালিকদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত রায় দিয়ে জানিয়েছে, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে ‘ভবিষ্যতের ভূত’। ছাড়পত্র পাওয়া ছবিকে কোনওমতেই বন্ধ করা যায় না।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘ভবিষ্যতের ভূত’ মুক্তি পাওয়ার একদিন পরেই রাজ্যের প্রায় সব সিনেমাহল থেকে কোনও অজানা কারণে ছবিটি তুলে নেন হল মালিকরা। তুলে নেওয়ার কোনও স্পষ্ট কারণ তাঁরা জানাতে পারেননি। বরং ‘ওপরমহল’-এর নির্দেশের কথা বলেছিলেন।এ নিয়ে বিস্তর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ছবির প্রযোজক কল্যাণময় চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন হল মালিকের কাছে সিনেমাটি সরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে লিখিত নোটিসও পাঠান। গোটা বিষয়টি নিয়ে কলাকুশলীদের সংগঠন ইম্পা এবং ফেডারেশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন ছবির প্রযোজক এবং পরিচালক। কিন্তু তার পরেও ছবিটি নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বার হয়নি। ফলে দীর্ঘ এক মাস ছবিটির প্রর্দশন আটকে থাকে। এর পর প্রযোজক শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপেই গত ৫ এপ্রিল থেকে সমস্ত সিনেমা হলে ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর ফের প্রদর্শন শুরু হয়েছে।কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে যতই গণতন্ত্রের জয় হোক না কেন, এক দিক থেকে কিন্তু বড়োসড়ো সমস্যার মুখে থেকেই গিয়েছিলেন ছবির নির্মাতারা। সেটা হল আর্থিক সমস্যা। কথা উঠতে থাকে টলিউডের ইতস্তত- ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নির্মাতারা আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন।

রায় ঘোষণার পর পরিচালক অনীক ধর আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলেন,‘‘আদালত নিশ্চয়ই বুঝেছেন যা হয়েছিল ঠিক হয়নি। তাই এই নির্দেশ দিয়েছেন। প্রযোজকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল, সেটার কিছুটা সুরাহা হবে। তবে মনে রাখতে হবে, জরিমানার যে টাকাটা রাজ্য সরকার দেবে সেটাও আপনার আমার দেওয়া আয়করের টাকা।’’ প্রযোজক কল্যাণময় চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমরা কোনও কমপেনসেশন চাইনি। আদালতই নিজে থেকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তিন সপ্তাহ ছবিটা বন্ধ ছিল। আর্থিক ক্ষতি তো হয়েইছে। তার কাছে ২০ লক্ষ টাকাটা খুব বড় ব্যাপার নয়। তবে এই নির্দেশের দ্বিতীয় অংশ আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পীর বাক‌্‌স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার বিরুদ্ধে বলেছে আদালত। এতে সকলে বুঝতে পারবে ভবিষ্যতে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে আর্থিক জরিমানাও হতে পারে।’’

Exit mobile version