Site icon The News Nest

ভারতের বিমানের জন্য খুলে গেল পাকিস্তানের আকাশ, বালাকোট অভিযানের পর এই প্রথম

AIR INDIA

#নয়াদিল্লি: অবশেষে পাকিস্তান তাদের আকাশপথ খুলে দিল। আজ থেকে ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশের বিমান যাতায়াতে আর বাধা রইল না। মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২.৪১ মিনিটে আকাশ পথ খুলে দেয় পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নোটাম জারি করে জানায় সব দেশের অসামরিক বিমান যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের একটি সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১২ টা বেজে ৪১ মিনিট থেকে সব বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমার মধ্যে উড়তে পারছে। ভারতের এয়ারলাইন অপারেটদেরও পাকিস্তানের ওপর দিয়ে বিমান চালাতে বাধা নেই। পাকিস্তানের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সোমবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এয়ার ট্রাফিক সার্ভিসেসে নির্ধারিত রুটের যে কোনও বিমান এখন থেকে আমাদের আকাশ দিয়ে উড়তে পারবে।  এর ফলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে এয়ার ইন্ডিয়ার। পাকিস্তানের এয়ারস্পেস বন্ধ থাকার জন্য এতদিন তাদের বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উড়ানের যাত্রাপথ বদল করতে হয়েছিল।

১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী গাড়িবোমায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। তার জবাবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের বায়ুসেনা বালাকোটে জৈশ ই মহম্মদের জঙ্গি শিবিরের ওপরে বোমা ফেলে আসে। তখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশ দিয়ে ভারতের বিমান চলাচলের ১১ টি রুট ছিল। বিমান হানার পরে দু’টি চালু রেখে অন্যগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই দু’টি রুট ছিল পাকিস্তানের দক্ষিণ অংশের ওপর দিয়ে।

এর ফলে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন শহরে ভারতের যে বিমানগুলি যাতায়াত করে, তাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়। অনেক বিমানকে ঘুরপথে চালাতে হয়। একাধিক বিমানের রুট একসঙ্গে মিলিয়ে দিতে হয়। অনেক উড়ান বন্ধও রাখতে হয়। পাক আকাশপথে উড়ান নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয় এয়ার ইন্ডিয়া-সহ এ দেশের একাধিক বিমান সংস্থা। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি ৩ জুলাই রাজ্যসভায় ক্ষতির পরিসংখ্যান জানান। সেই তথ্য অনুযায়ী, ২ জুলাই পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার ক্ষতির পরিমাণ ৪৯১ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। অন্য দিকে, স্পাইসজেট, ইন্ডিগো এবং গোএয়ারের মতো বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলি যথাক্রমে ৩০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা, ২৫ কোটি ১ লক্ষ টাকা এবং ২ কোটি ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।

দেশের অভ্যন্তরে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহণ করে ইন্ডিগো। তারা পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ থাকার জন্য দিল্লি থেকে ইস্তানবুল পর্যন্ত উড়ান বন্ধ রেখেছিল।

Exit mobile version