Site icon The News Nest

ভাল ফল সত্ত্বেও এবারও কোনও পূর্ণমন্ত্রী নেই, বাংলা পেল ২ প্রতিমন্ত্রী বাবুল-দেবশ্রী

babul

#নয়াদিল্লি: রাজ্যে বিজেপির শক্তি ২ থেকে ১৮ হয়েছে। তবু মোদী মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী পেল না বাংলা। গতবারের মতো এবারেও প্রতিমন্ত্রী হিসেবেই শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়। নতুন মুখ দেবশ্রী চৌধুরীও সেই তালিকায়। এদিন প্রধানমন্ত্রী ছাড়া পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোট ২৪ জন। তার মধ্যে বাংলার কেউ নেই। এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ৩৩ জন।

মোদীর মন্ত্রিসভায় ২৩ জন পূর্ণমন্ত্রীর মধ্যে নতুন মুখ ৭ জনই নুতন মুখ। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। চমক বলতে প্রাক্তন বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর। অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজকে শারীরিক অসুস্থতার জন্য রাখা হয়নি মন্ত্রিসভায়। তবে বাদ পড়েছেন সুরেশ প্রভু, জে পি নাড্ডা, উমা ভারতী, মেনকা গান্ধী, অনন্ত গীতের মতো মন্ত্রীরা।

বাংলায় বিজেপির ব্যাপক সাফল্যের পর এমনকি পাঁচ জন মন্ত্রী হতে পারেন বলেও জল্পনা ছড়িয়েছিল। বাবুল সুপ্রিয় পূর্ণমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন বলেও নানা মহল থেকে খবর আসছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আগের বারের চেয়ে মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়েনি। পদোন্নতিও হয়নি বাবুলের। এ বারও প্রতিমন্ত্রী হিসেবেই শপথ নিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ। সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার জায়গায় এসেছেন দেবশ্রী রায়। দু’জনই শপথ নিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে।

বাংলা থেকে একজনও পূর্ণ মন্ত্রী না হওয়ায় রাজ্যের বিজেপি নেতারাও অস্বস্তিতে পড়েছেন। চোদ্দর ভোটে আসানসোল থেকে জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন বাবুল। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীর শপথ গ্রহণের দিনই বাবুলকে মন্ত্রিসভায় না নিলেও পরে তাঁকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। প্রথমে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতি মন্ত্রী হয়েছিলেন বাবুল। পরে তাঁকে ভারী শিল্প মন্ত্রকের প্রতি মন্ত্রী করা হয়। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ আলুওয়ালিয়াকে প্রথম করা হয়েছিল কৃষি দফতরের প্রতি মন্ত্রী। পরে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। এ বার অনেকে মনে করেছিলেন বাবুলকে হয়তো পূর্ণ মন্ত্রী করা হবে। কিন্তু তাঁকে এ বারও সেই মর্যাদা দিলেন না মোদী-শাহ জুটি।

বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদের অনেকের মতে, বাবুলকে মন্ত্রী করার পর বাংলায় বিজেপি-র সংগঠনের যে খুব উপকার হয়েছিল তা নয়। কারণ, তাঁর সঙ্গে সংগঠনের বহু নেতার রেষারেষি ও মন কষাকষি এতোটাই যে তালমিল বিশেষ ছিল না। আর দেবশ্রী চৌধুরীর কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তবে মনে রাখতে হবে, এটাই পথের শেষ নয়। এ দিন মাত্র ৫৮ জন মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় এর পরেও অনেক শূণ্যপদ থাকবে। সুতরাং মন্ত্রী হওয়ার সময় চলে যায় নি। তা ছাড়া অমিত শাহ চাইছেন, যে ১৮ জন সাংসদ এ বার জিতেছেন তাঁরা বাংলায় সংগঠন বাড়ানোর উপর জোর দিন। অহোরাত্র চষে বেড়ান। কারণ, বিজেপি-র টার্গেট হল ২০২১ সালে বাংলায় ক্ষমতা দখল করা।

বলে রাখা ভাল, রাজ্যের মতই কেন্দ্রেও প্রতিমন্ত্রীদের কার্যত কোনও কাজই থাকে না। মন্ত্রকের পূর্ণ মন্ত্রীরা তাঁদের কাছে ফাইল পাঠাতে চান না। এ ব্যাপারে মনমোহন মন্ত্রিসভা আর মোদী মন্ত্রিসভায় কোনও ফারাক নেই। বরং মোদী মন্ত্রিসভায় অনেক পূর্ণ মন্ত্রীরই কাজ ছিল না প্রথম মেয়াদে। সচিবরাই দফতর চালাতেন। তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখত প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। অনেকের মতে, এ ব্যাপারে দিদির মন্ত্রিসভার সঙ্গে মোদীর মন্ত্রিসভার কার্যশৈলীর ফারাক নেই।

 

Exit mobile version