নয়াদিল্লি: সংশয়ে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’র মুক্তি। নির্বাচনী আচরণবিধি জারি থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রীর জীবনী নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’ ৫ এপ্রিল মুক্তি পেতে পারে কি না, খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন। সেন্সর বোর্ডের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
অন্যদিকে,গত ১০ মার্চ থেকে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হওয়া সত্ত্বেও ছবিটির প্রচারমূলক বিজ্ঞাপন সংবাদপত্রের পুরো পাতা জুড়ে ছাপা হওয়ায় পূর্ব দিল্লির রিটার্নিং অফিসারের দফতর থেকে দুটি সংবাদপত্রকে শোকজ নোটিস পাঠানো হল বুধবার। জানা গিয়েছে দৈনিক ভাস্কর এবং দৈনিক জাগরণ, এই দুই সংবাদপত্রকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।৫ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে ওই দুটি সংবাদপত্রকে। নোটিসে আরও বলা হয়েছে সংবাদপত্র দুটি যেন মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি (এমসিএমসি)-র শংসাপত্র জমা দেয় নির্বাচনের কাছে। প্রসঙ্গত, প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার জন্য এমসিএমসি-র শংসাপত্রের প্রয়োজন হয় না।জেলা নির্বাচন আধিকারিক কে মহেশ সদ্য জারি করা নোটিসে বিজ্ঞাপনদাতা এবং প্রকাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “সারোগেট অ্যাডভার্টাইজমেন্ট সংক্রান্ত নিয়ম এবং জন প্রতিনিধি আইনে, যে কোনও বিজ্ঞাপনের খরচ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর প্রচারের জন্য ধার্য খরচের মধ্যে পরার কথা”। দৈনিক ভাস্করের সম্পাদক আনন্দ পাণ্ডে জানিয়েছেন, তিনি শোকজ নোটিস এখনও পাননি। দৈনিক জাগরণের সম্পাদক সঞ্জয় গুপ্তা ফোনের জবাব দেননি। বিজ্ঞাপনদাতা টি সিরিজ এবং লিজেন্ড গ্লোবাল স্টুডিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’র মুক্তি আটকাতে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস ও ডিএমকে। সরব সিপিএম। ট্রেলারেই ইঙ্গিত, মোদীর জীবনের নানা দিক, সঙ্ঘের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার যাত্রাপথকে তুলে ধরেছে ছবিটি। পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি নিতে দেখা গিয়েছে ‘মোদীকে’। বিরোধীদের বক্তব্য, এটা আদতে মোদী ও বিজেপির পরোক্ষ প্রচার। এর পরে আসতে চলেছে ‘তাসখন্দ ফাইলস’ নামে একটি ছবি। যাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর তাসখন্দে মৃত্যু রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অনেকের মতে, সেই ছবিটির মাধ্যমে কংগ্রেসের তৎকালীন নেতৃত্বের ভূমিকাকে আতসকাচের তলায় ফেলা হয়েছে। ভোটের সময়ে এ ধরনের সিনেমা কী ভাবে রোখা যায়, তা নিয়ে এখন ধন্দে কমিশন। বিষয়টি নিয়ে কমিশন সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছে। কারণ বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনও ছবি এক বার সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে গেলে তা রোখার ক্ষমতা কারও নেই।