ভোট চলাকালীন বিহারের হোটেলে উদ্ধার ইভিএম, ভিভিপ্যাট, শো-কজ অফিসারকে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#মুজফফরপুর: পোলিং বুথে নয়, হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট। তাও আবার ভোট চলাকালীন। নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে বুথকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে। সোমবারই লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় ভোট ছিল বিহারের মুজাফ্ফরনগরে। সেখানেই ঘটেছে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, কোনও কারণে কোনও বুথের কোনও ইভিএম বা ভিভিপ্যাট যন্ত্র হঠাৎ বিকল হয়ে পড়লে যাতে ভোটগ্রহণের কাজে ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য ৪টি ইভিএম ও ২টি ভিভিপ্যাট যন্ত্র রাখা হয়েছিল সেক্টরের ম্যাজিস্ট্রেট অবধেশ কুমারের হেফাজতে। তিনি বুথ থেকে বেরিয়ে আসার সময় তাঁর গাড়ির চালক বলেন, তাঁকে ভোট দিতে যেতে হবে। ফলে, ইভিএম ও ভিভিপ্যাট যন্ত্রগুলিকে নিয়ে অবধেশ কুমারকে কাছেপিঠের একটি হোটেলে উঠতে হয়। সেখানেই তিনি একটি রুমে রাখেন ওই ইভিএম, ভিভিপ্যাট ও কন্ট্রোল ইউনিটগুলিকে। কেন তিনি গাড়ি থেকে নামিয়ে সেগুলি হোটেলের ঘরে তুলেছিলেন, তা জানতে চেয়ে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে।

কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই খবর চাউর হয়ে যায় সর্বত্র। রাজনৈতিক দলগুলির এজেন্টদের কানে পৌঁছে যায় সেই খবর। এটা কী ভাবে হল, তা নিয়ে সরব হন রাজনৈতিক দলগুলির এজেন্টরা। শুরু হয় প্রতিবাদ। খবর পৌঁছে যায় এলাকার সাব-ডিভিশনাল অফিসার (এসডিও) কুন্দন কুমারের কাছে। সেখানে উপস্থিত হয়েই ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটগুলি বাজেয়াপ্ত করেন তিনি। মুজাফ্ফরনগরের জেলাশাসক অলোকরঞ্জন ঘোষ বলেন, “সেক্টর অফিসারকে কয়েকটি মেশিন ব্যাক-আপ হিসেবে রাখতে দেওয়া হয়েছিল। কোনও ইভিএম বিকল হলে যাতে বদলে নেওয়া যায়। ইভিএম বদলের পর তাঁর গাড়িতে দুটি ইভিএম, একটি কন্ট্রোল ইউনিট এবং দুটি ভিভিপ্যাট পড়েছিল। কিন্তু সেগুলি কোনও হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করেছেন তিনি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।” ইতিমধ্যেই ওই অফিসারকে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে। কেন তিনি হোটেলে সেগুলি নিয়ে গেলেন, তার জবাব চাওয়া হয়েছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest