Site icon The News Nest

ভোট শেষের আগেই বিরোধীদের তোড়জোড়, রাহুল-মায়াবতী-অখিলেশের সঙ্গে একের পর এক বৈঠকে চন্দ্রবাবু নাইডু

rahul chandrababu

#নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোটগ্রহণের আগেই বিজেপি-বিরোধী জোট গড়ার লক্ষ্যে তৎপরতা তুঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর। শনিবার সকালে কংগ্রেস সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি মিলিত হতে চলেছেন মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও।

জোট নিয়ে ব্যক্তিগত স্তরে আগেই উদ্যোগী হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। ২৩ মে দিল্লিতে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকের আগেই প্রাক্তন ইউপিএ শরিকদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছিলেন তিনি। এ বার কে চন্দ্রশেখর রাও, জগন্মোহন রেড্ডি, নবীন পট্টনায়কদের মতো আঞ্চলিক স্তরের হেভিওয়েট নেতাদেরও বার্তা দিতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিলেন। পাশাপাশি, জোটের স্বার্থে মরিয়া চন্দ্রবাবু জানিয়ে দিলেন, নিজের ‘রাজনৈতিক শত্রু’ চন্দ্রশেখরের দিকেও হাত বাড়াতে আপত্তি নেই তাঁর। কংগ্রেস যখন সমস্ত আঞ্চলিক দলকে জোট গঠনের তৎপরতা বাড়াচ্ছে, সে সময় অ-বিজেপি এবং অ-কংগ্রেসি জোটের জন্য আরও উদ্যোগী হচ্ছেন তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)-র নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও।

শুক্রবারই সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চন্দ্রবাবু। শনিবার সকালে নয়াদিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন তেলুগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু। মূলত ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়েই আলোচনা করেন তাঁরা। এর পর তিনি এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের সঙ্গেও দেখা করেন। কংগ্রেসের সঙ্গে কথা হয়েছে জেডিইউ নেতা দেবগৌড়াও।

মহাজোট গড়তে মুখ্য সূত্রধর হিসাবে উদ্যোগী নায়ডু বিএসপি নেত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কথাবার্তা চালাবেন। এ দিন দুপুরেই লখনউ উড়ে গিয়েছেন তিনি। সন্ধ্যায় সেখানে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের পর বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর সঙ্গেও দেখা করেন চন্দ্রবাবু। অ-বিজেপি জোটের পক্ষে সুখবর, নবীন পট্টনায়কের দল বিজেডি তাদের ঘোষিত নীতি নিয়ে নমনীয় হয়েছে। এত দিন বিজেপি এবং কংগ্রেস— দুই দলের থেকেই সমদূরত্বের নীতি নিয়েছিল তারা। তবে ভোটপ্রচারে গিয়ে বিজেপি-কে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে আখ্যা দেওয়ার পর থেকে উত্সাহিত হয়েছে কংগ্রেস। তার পর এ দিন বিজেডি নেতা তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জানিয়েছেন, ওড়িশার স্বার্থরক্ষার্থে যে দলই কাজ করবে তাকেই সমর্থন করবে তাঁর দল। ২০০০-’০৯ পর্যন্ত ওড়িশায় বিজেপি-র জোটসঙ্গী নবীন পট্টনায়ক জানিয়েছেন, রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার জন্য যে দল রাজি থাকবে, তাদেরই সমর্থন করবে বিজেডি। তাঁর আরও দাবি, জোট গড়ায় বিজেডি বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করবে।

Exit mobile version