Site icon The News Nest

ভ্রান্তিবিলাস! ওয়েনাড় কেন্দ্রে ‘রাগা’র মুখোমুখি আরও দুই ‘রাগা’

rahul gandhi waynand

ওয়েনাড়: রাহুল গান্ধী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাহুল গান্ধী এবং রাঘুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। না, কোনো হেঁয়ালি নয়। ওয়েনাড় কেন্দ্রে ঠিক এ রকমই ঘটনা ঘটতে চলেছে। কংগ্রেসের ভোটদাতারা যখন কংগ্রেস সভাপতির হয়ে ভোট দিতে যাবেন, তখন ইভিএম দেখে চমকে যেতে পারেন তাঁরা। একজন নয়, কার্যত দু’জন সমনামী ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে রাহুলকে।

বৃহস্পতিবার ওয়েনাড় কেন্দ্রে নিজের মনোনয়ন জমা দেন রাহুল। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন জমা দেন ৩৩ বছর বয়সি রাহুল গান্ধী কে ই। কোট্টায়ামের বাসিন্দা এই রাহুল গান্ধী কে ই লোকগীতি নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর দাদার নাম রাজীব গান্ধী কে ই।

মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন রাহুল এবং রাঘুল।

দুই ভাইয়ের নাম গান্ধী পরিবারের বিখ্যাত বাবা-ছেলের সঙ্গে মিলে গেল কী ভাবে? রাহুল, রাজীবের বাবা কুঞ্জামন ছিলেন কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী, এমনই জানিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য প্রকাশ পুল্লিকল। গান্ধী পরিবারের ভক্তও ছিলেন তিনি। সেই কারণেই দুই ছেলের এ হেন নাম রেখেছেন তিনি। পুল্লিকল বলেন, “দুই ছেলের কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ কোনো দিনও ছিল না। তবে রাজীব সিপিএম কর্মী।” তবে নির্দল প্রার্থী হিসেবে রাহুলের মনোনয়ন জমা দেওয়ায় তাঁর পাড়া যে স্তম্ভিত সে কথা বলেছেন এই পঞ্চায়েত সদস্য।আর এক জন রাঘুল গান্ধী কে। কোয়েম্বত্তুরের বাসিন্দা রাঘুল ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে লড়ছেন আকিলা ইন্ডিয়া মক্কাল কাঝাগামের হয়ে। রাঘুলের কথায়, “আমি যখন জন্মালাম তখন আমার বাবা কংগ্রেস করতেন। পরে তিনি এআইএডিএমকের দিকে ঝুঁকে পড়েন। আমার দিদির নাম ইন্দিরা প্রিয়দর্শীনি। বাবা আমাকে এই নাম দিয়েছিল বলেই আমি কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে লড়তে পারছি।”

তবে এখানেই শেষ নয়। এই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন আরও এক গান্ধী। কেএম শিবপ্রসাদ গান্ধী। ত্রিসুর স্কুলের সংস্কৃত শিক্ষক এই প্রার্থী লড়ছেন ইন্ডিয়ান গান্ধিয়ান পার্টির হয়ে। তবে কেরলে এই দলের কোনো স্বীকৃতি নেই।অনেক ক্ষেত্রেই মূল প্রার্থীর সম্ভাবনায় কিছুটা ধাক্কা দেওয়ার জন্য সমনামী ব্যক্তিকে গোঁজ প্রার্থী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে এ বার যে হেতু ইভিএমে প্রার্থীর ছবি থাকছে, তাই ভোটারের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধাই হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৪-এ কেরল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ভিএম সুধীরম আলাপুড়া কেন্দ্র থেকে ১০০৯ ভোটে হেরেছিলেন। দেখা গিয়েছিল ভিএস সুধীরন নামক আর এক প্রার্থী পেয়েছিলেন ৮,২৮২ ভোট।অন্যদিকে, ২০০৯-তে কোড়িকোড় কেন্দ্র থেকে সিপিএম প্রার্থী এ মহম্মদ রিয়াজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন চারজন সমনামী ব্যক্তি। এই প্রার্থীরা ৪০০০ ভোট পেয়েছিলেন সর্বমোট। এর ফলে ৮০০ ভোটের ব্যবধানে কংগ্রেস প্রার্থী জিতে গিয়েছিলেন।

Exit mobile version