Site icon The News Nest

মধ্যরাত পর্যন্ত বৈঠক,বঙ্গের প্রার্থী বাছাই করতে হতোদ্যম মোদী-শাহ

bjp meeting

নয়াদিল্লি: কয়েক ধাপে দেশের বেশ কিছু আসনে প্রার্থী ঘোষণা সেরে ফেলেছে কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের মতো অন্যান্য অনেক রাজনৈতিক দলই প্রর্থী ঠিক করে ফেলেছে। কিন্তু বিজেপি কবে প্রার্থী দেবে এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল কম নেই। মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সভা। কিন্তু মধ্যরাত পেরিয়ে গেলেও প্রর্থী ঘোষণা করেনি গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, আজ বুধবার উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে ফের বৈঠকে বসবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। তবে বয়সের কারণে লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশীর মতো নেতাদের বিজেপি আর প্রার্থী করছে না।

নয়াদিল্লির বিজেপি সদর দফতরে এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্যরা। রাত একটায় বিজেপি দফতর থেকে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে পার্টি অফিস থেকে বের হন মোদী। কিন্তু কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি।অন্যদিকে, এরাজ্যে উত্তরবঙ্গে দুই আসন কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোট ১১ এপ্রিল। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ২২ দিন। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উত্তরবঙ্গের এই দুই আসনে বিজেপির শক্তি বেড়েছে বলেই গেরুয়া শিবিরের দাবি। এই কোচবিহার থেকেই রথযাত্রা বের করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়েই দ্বিধায় পদ্মশিবির। এমন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়ে গিয়েছে রাজ্যের অধিকাংশ কেন্দ্রেই।মঙ্গলবার প্রার্থী ঘোষণার কথা থাকলেও  রাজ্য বিজেপির নেতাদের গোষ্ঠী দ্বন্ধের কারণে তা পিছিয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

কিন্তু কেন প্রার্থী ঘোষণা করতে এত দেরি? এর ফলে ভোট প্রচারের দৌড়ে কি পিছিয়ে পড়ছে না বিজেপি? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ নেতা বলেন, ”একই আসনে অনেক প্রার্থী দাবিদার। তার ওপর নানা শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দল। তাছাড়া এখনও দেখে নেওয়া হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বা সমাজের বিশেষ ক্ষেত্র থেকে কোনও প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে কি না।” তবে ওই রাজ্য নেতা স্বীকার করে নিয়েছেন, ভোট প্রচারে কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। দলের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যেও মতান্তর তৈরি হচ্ছে, যদিও একাংশের বক্তব্য, দল যোগ্য প্রার্থী দিলে তা “মেক-আপ” হয়ে যাবে।প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে দিলীপ ঘোষ স্বীকার করেছিলেন, বিজেপিতে যোগ্য প্রার্থীর অভাব রয়েছে। অন্য দলের জন্য দরজা খোলা।  রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে ২২টি আসন জেতার লক্ষ্য নিয়েছেন অমিত শাহ। কিন্তু রাজ্যে বিজেপি নেতাদের যা অবস্থা তাতে কি আদৌ সেই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব।

Exit mobile version