মধ্যস্ততার সুপ্রিম প্রস্তাবে বিরক্ত সংঘ, কালামের নাম মসজিদ চাইছেন স্থানীয় পুরোহিত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

লখনউ : রামমন্দির দেশের হিন্দুদের ভাবাবেগের বিষয়। সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতার যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে আহত হয়েছে হিন্দু ভাবাবেগ। এই ভাষাতেই অসন্তোষ প্রকাশ করল আরএসএস। তাদের দাবি, ধারাবাহিক ভাবে হিন্দুদের ভাবাবেগকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়ায় না গিয়ে শীর্ষ আদালত কেন মধ্যস্থতার কথা বলল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলল সংঘ। তারা সাফ জানিয়েছে এই রায় তাদের পছন্দ নয়।

সংঘের তরফে বলা হয়েছে, “আমাদের বিচারবিভাগের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে, আমাদের মনে হয় হিন্দুদের ভাবাবেগকে ক্রমাগত উপেক্ষা করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই, অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত কীভাবে মন্দির নির্মাণে সব বাধা দূর হয়, তা নিশ্চিত করা।” মন্দির ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টকে তোপ দাগতে গিয়ে সবরীমালা ইস্যুও তুলে এনেছে সংঘ। আরএসএসের অভিযোগ, সবরীমালা মন্দির মামলাতেও হিন্দুদের ভাবাবেগকে গুরুত্ব না দিয়ে একপেশে রায় দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। এমনকী, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে একমাত্র মহিলা বিচারপতি এই রায়ে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন, তাতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।” শুক্রবার অযোধ্যা মামলায় মধ্যস্থতার পক্ষে সায় দেয় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ৷ তিন সদস্যের একটি মধ্যস্থতাকারী প্যানেলও তৈরি করা হয় ৷ যার মাথায় রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কলিফুল্লা৷ এছাড়াও রয়েছেন শ্রী শ্রী রবিশংকর ও আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু৷ চার সপ্তাহের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে ওই প্যানেলকে৷ শেষ করতে হবে আট সপ্তাহের মধ্যে৷ কিন্তু এই মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া মন্দির আন্দোলনের পুরোধা আরএসএসের যে পছন্দ হয়নি, তা তাদের এই বয়ানেই পরিষ্কার।

অন্যদিকে, শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের প্যানেলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক মহলেই। এমআইএম-এর প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘যদি আরেকটু নিরপেক্ষ কাউকে মধ্যস্থ হিসেবে নিয়োগ করা হত, খুশি হতাম।রবিশঙ্কর এর আগে মন্তব্য করেছেন, মুসলিমরা অযোধ্যার দাবি না ছাড়লে, ভারত সিরিয়ায় পরিণত হবে। সুপ্রিম কোর্টের নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ করা উচিত ছিল।’’ আপত্তি তুলেছে নির্মোহী আখাড়াও। জমি বিতর্কে এই সংগঠনটি মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে। কিন্তু এ দিন আখাড়ার প্রধান মোহন্ত সীতারাম দাস বলেন, ‘‘শ্রীশ্রীকে এই কমিটির সদস্য করার বিরোধিতা করছি। কারণ, আমরা এই সমস্যার আইনি সমাধান চাই।’’

এসবের মধ্যে অযোধ্যার মাটিতে মসজিদ গড়ে উঠুক চাইছেন স্থানীয় হিন্দুরাও। প্রয়োজনে তাঁরা জমি ছাড়তেও রাজি। একই সুরে সুর মিলিয়ে অযোধ্যার পুরোহিতরাও বলছেন অযোধ্যায় মসজিদ হোক। তবে তাঁদের একটি শর্ত রয়েছে।স্থানীয় হিন্দুরা চান সেখানে মুঘল রাজা বাবরের মত জঙ্গির নামে মসজিদ না হয়ে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড: এপিজে আবদুল কালামের নামে মসজিদ হোক। ড: এপিজে আবদুল কালাম প্রকৃত অর্থে একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন৷ইণ্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে অযোধ্যার এক পুরোহিত জানান বাবর আক্ষরিক অর্থেই একজন জঙ্গি ছিলেন৷ তাই তাঁর নামের মসজিদ বানানোতে তাঁদের সমর্থন নেই৷ রাম জন্মভূমিতে তখনই মসজিদ হবে, যখন আবদুল কালামের নামে মসজিদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest