মান ভাঙ্গাতে উদ্ধবের কাছে অমিত,অবশেষে মহারাষ্ট্রে আসন সমঝোতা বিজেপি- শিবসেনার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অবশেষে সমাপ্ত হল শিবসেনা – বিজেপির দড়ি টানাটানি খেলা। যবনিকা পড়ল এতদিন ধরে চলা নাটকের। বেশ কয়েকদিন ধরেই বাতাসে ভাসছিল বিজেপি-শিবসেনার আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হওয়ার খবর। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে সেই খবরে শিলমোহর দিলেন।
২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে বাড়ছিল দূরত্ব। নোট বন্দির পর থেকে বিবাদ চরমে ওঠে। গতবছর শিবসেনা তরফে জানানো হয় লোকসভা নির্বাচনে একা লড়বে। সম্প্রতি
মহারাষ্ট্রে এসে অমিত শাহ জানিয়ে দেন, তারা একা লড়তে ভয় পান না।কিন্তু বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ কিছু জোটসঙ্গী ইতি মধ্যেই হাত ছেড়েছে বিজেপির। পরিস্থিতি অনুকুল নয় জেনে এদিন উদ্ধব ঠাকরের মান ভাঙ্গাতে জয়পুর থেকে সোজা মুম্বইয়ে যান অমিত শাহ। মাতোশ্রীতে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। পরে সেখানে আসেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুই দলের নেতারাই। আনুষ্ঠানিক ভাবে জোটের ঘোষণা করে ফড়নবীশ জানান, রাজ্যে ২৩টি আসনে লড়াই করবে শিবসেনা। বাকি ২৫টি আসনে প্রার্থী দেবে বিজেপি। তবে বিধানসভায় সমসংখ্যাক আসনে বিজেপি-শিবসেনা লড়াই করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের কথায়,’৩০ বছর ধরে আমাদের জোট। গত ৫ বছরে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। তবে ধারাবাহিকভাবে সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি।’
এদিন ফড়নবীশ বলেন,’আমাদের নীতি, আদর্শ এক। গত ২৫ বছর ধরে একসঙ্গে রয়েছি।কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের মধ্যে মতভেদ হয়েছে। কিন্তু চিন্তাধারার ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের সঙ্গে আছি। উভয়ের দাবি অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ। মানুষ চায় আমাদের একসঙ্গে দেখতে।’ বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি ফড়নবীশ। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রবাদী ভাবধারায় বিশ্বাস রাখা মানুষকে কিছু লোকের পছন্দ নয়। তারা একসঙ্গে রাষ্ট্রবাদী চিন্তাধারাকে নিশানা করেছে।’

সমাঝোতা চূড়ান্ত করে অমিত শাহের দাবি, ৪৮টির মধ্যে ৪৫টি আসনই আমরা জিতব। তিনি বলেন,’জাতীয়তাবাদী চিন্তা ধারা নিয়ে বহু বছর ধরেই লড়াই করছে দুই দল। এখন কেন্দ্রে সরকারেও শিবসেনা আমাদের সহযোগী। লোকসভায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ওরা আমাদের সহায়তা করেছে। আগামী দিনেও একসঙ্গে আমরা লড়াই করব।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৪ সালের মতো মোদী হাওয়া আর নেই। তার উপরে কংগ্রেস ও এনসিপি জোট বেঁধেছে মরাঠাভূমে। এমতাবস্থায় শিবসেনা ও বিজেপি আলাদা আলাদা লড়াই করলে দুপক্ষেরই লোকসান। কারণ, দুই দলের ভোটারের চরিত্র কার্যত একই। শিবসেনা আগে থেকে সমসংখ্যক আসনের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু মহারাষ্ট্রে এখন নিজেদের বড় শরিক মনে করে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে শিবসেনার দাবিকে পাত্তা দিচ্ছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু, লোকসভা ভোটের আগে অবস্থা বেগতিক দেখে কার্যত শিবসেনার আবদার মেনে নিতে অমিত শাহ বাধ্য হলেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest