নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: একই পরিবারের চার ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। নিজেদের বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে এক দম্পতি এবং তাঁদের দুই সন্তানের দেহ। প্রত্যেকের দেহে পাওয়া গিয়েছে গুলির চিহ্ন। খুন নাকি আত্মহত্যা করেছেন ওই চারজন, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, চন্দ্রশেখরের বাড়ি অন্ধ্রের গুন্টুর জেলার সুন্দুরু অঞ্চলে। তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় গিয়েছিলেন। পরে সেখানেই পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। তাঁর বাবা-মা থাকেন হায়দরাবাদে। আইওয়া ডিভিশন অব ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মিচ মোটভেডট বলেন, চন্দ্রশেখর ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটির টেকনোলজি সার্ভিসেস ব্যুরোয় কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর শনিবার সকালে পরিচিত এক ব্যক্তি শঙ্করের বাড়িতে আসেন৷ সেই সময় বাড়িতেই তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশে খবর দেন তিনি৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ চন্দ্রশেখর শংকর, একচল্লিশ বছর বয়সি স্ত্রী লাবণ্য, তাঁদের ১৫ এবং ১০ বছর বয়সি দুই সন্তানের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে৷ প্রত্যেকেরই মাথায় পাওয়া গিয়েছে গুলির চিহ্ন৷
সবার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পড়শিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে বেশ কিছুদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শঙ্কর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শঙ্কর একে একে স্ত্রী লাবণ্য এবং দুই পুত্রসন্তানকে গুলি করে খুনের পর আত্মহত্যা করেছেন।