মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা বিজেপিতে, দিগ্বিজয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভোপাল: আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর। বুধবার ভোপালে বিজেপির দফতরে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রবীণ নেতা শিবপাল সিংহ চৌহান, প্রভাত ঝা এবং রামলালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন তিনি। তাঁদের উপস্থিতিতেই আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে যোগ দেন।

সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহিলা শাখা ‘দূর্গা বাহিনী’র সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। এতদিনে বিজেপিতে যোগ দিলেন। দলের সদস্যপদ গ্রহণের পর সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘‘আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিলাম আমি। এ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব এবং জিতবও।’’ তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা হয়নি যদিও। তবে এ বছর নির্বাচনে ভোপালে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জল্পনা তুঙ্গে।

সাধ্বী প্রজ্ঞার যোগ দেওয়ার পর দিল্লির বিজেপি মুখপাত্র তেজিন্দর পাল সিং বাগ্গা টুইট করেন, ‘‌সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর ভার্সেস দ্বিগবিজয় সিং ভোপালে?‌’‌ সাধ্বী প্রজ্ঞা দলে যোগ দেওয়ার পর ভোপালে বিজেপির দফতরেই জরুরি বৈঠকে বসেন শিবরাজ সিংহ চৌহান, রামলাল, প্রভাত ঝা, সুহাস ভগত এবং অনিল জৈনের মতো নেতারা। আলাপ আলোচনার পর তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির দুর্গ বলেই পরিচিত। ১৯৮৯ সালের পর থেকে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস হাত ছোঁয়াতে পারেনি। তাই এ বার ভোপাল দখল করতে মরিয়ে রাহুল গান্ধী ব্রিগেড, হেভিওয়েট দিগ্বিজয় সিং-কে সেখানে দাঁড় করিয়েছে। ওই কেন্দ্রে বিজেপি সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করবে, জল্পনা তৈরি হলেও, সে বিষয়ে সন্দেহও প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। এর পিছনে অবশ্যই মালেগাঁও বিস্ফোরণকে কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। যদিও সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে এই নাশকতা সংক্রান্ত কোনো তথ্যই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআইয়ের কাছে নেই বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত, যদিও এখন তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মালেগাঁও বিস্ফোরণে ৬ জন মারা গিয়েছিলেন এবং ১০১ জন গুরুতর জখম হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (‌এনআইএ)‌ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করে ও গ্রেপ্তার করে।  ‌‌

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest