মাসুদ আজহারকে ভারতের হাতে তুলে দিয়ে উদারতার প্রমান দিন,ইমরানকে তোপ সুষমার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি : পাকিস্তানের মাটি থেকে নির্মূল করতে হবে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ৷ নয়তো পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জায়গাই নেই ৷ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ৷

এদিন সরাসরি নাম করেই এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিঁধলেন সুষমা স্বরাজ।তিনি বলেন, ‘‌অনেকেই বলে থাকেন ইমরান খুবই উদারমনষ্ক। তাই যদি হয় তাহলে ইমরানের উচিত মাসুদ আজহারকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতেও রাজি। কিন্তু যতক্ষণ না সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করছে তাঁরা, ততক্ষণ নয়। কারণ কথাবার্তা আর রক্তপাত কখনও একসঙ্গে হতে পারে না।’‌

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার সময়েই ইমরান খান বলেছিলেন, তিনি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চান। পুলওয়ামা কাণ্ডের পরেও তিনি একাধিকবার শান্তির কথা বলেছেন।তবে মুখে শান্তির বার্তার কথা বললেও , বুধবার রাতেও ভারতের বায়ুসেনার নজরে আসে ভারত সীমান্ত বরাবর দুটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান। এদিকে , সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রেক্ষিতে যে ভারত এক চুলও জমি ছাড়তে রাজি নয়, তা ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন সুষমা স্বরাজ।পাক যুদ্ধবিমানের হামলার প্রসঙ্গে সুষমা বলেন, ‘পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাব হিসাবে ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। কিন্তু পাল্টা পাকিস্তান জঙ্গি সংগঠন জৈশ–ই–মহম্মদের হয়ে ভারতের আকাশে ঢুকের হামলার চেষ্টা করে। পাকিস্তানের উচিত ভারতে হামলা না চালিয়ে নিজের দেশের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে হামলা করা।’‌ এর পরই পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ করে সুষমা বলেন, ‘‘আপনাদের দেশের মাটিতে জইশ শুধু ঘাঁটি গেড়েছে, এমনটা নয়। আপনারা জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য করেন। আক্রান্ত দেশ পাল্টা অভিযান চালালে জঙ্গিদের হয়ে আপনারাই তাদের উপর হামলা চালান।’’ একই সঙ্গে পাক সেনা এবং পাক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) কবল থেকে পাকিস্তানকে মুক্ত করার জন্যও ইমরানকে পরামর্শ দেন তিনি।

পুলওয়ামা কাণ্ডের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর ঠিক কী আলোচনা হয়েছিল, সেই কথাও সামনে এনেছেন সুষমা। তাঁর কথায়, ‘‘ওই সময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীরা আমাকে ফোন করে সান্ত্বনা দিতেন। তার পরই তাঁরা আমাকে নরম সুরে অনুরোধ করতেন খুব কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য।আমি তাঁদের বলেছি, আমরা কখনই এমন কাজ করব না যাতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ফের যদি সন্ত্রাসবাদীরা হামলা করে, ভারত তাকে নিছক ভাগ্য বলে মেনে নেবে না।’’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest