মাসুদ আজহারের রক্ষাকবচ, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ডিং #বয়কট চাইনিজ প্রোডাক্ট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: ফের চিনা পণ্য বয়কটের দাবি উঠল নেট দুনিয়ায়৷ হ্যাশট্যাগ বয়কট চাইনিজ প্রোডাক্ট ট্রেন্ড শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ফ্রান্স রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব এনেছিল যে,‌ মাসুদ আজহারকে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করা হোক। এরপর আমেরিকা, ব্রিটেন এবং পরবর্তীতে রাশিয়া তাতে সম্মতিও জানিয়েছিল। আর প্রক্রিয়াগত কারণ দেখিয়েই চতুর্থবার এই ঘোষণাকে আটকে দিয়েছে চীন। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য স্থায়ী সদস্যরা রাজি থাকলেও তাদের সঙ্গে একমত হয়নি চীন। নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাব আনার দশ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের কোনও দেশ এই বিষয়ে আপত্তি না জানালে প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যেত। সেই অনুযায়ী বুধবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে বারোটার আগেই এই নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে হত চীনকে। কিন্তু সেই সময়সীমার শেষ মুহূর্তে এসে প্রক্রিয়াগত কারণ দেখিয়ে এই ঘোষণা আটকে দেয় চীন। বেজিংয়ের দাবি, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাঁদের আরও সময় লাগবে। ফলে ফের এবার আটকে গেল সেই প্রক্রিয়া।

মাসুদ আজহারকে জঙ্গি ঘোষণার পথে ফের  চিন বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দেশের একটা বড় অংশের জনমানসে৷ সেই ক্ষোভ তারা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই #boycottchineseproducts ‌লেখা ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। টপ ট্রেন্ডিংয়েও চলে আসে তা। নেটিজেনদের মতে, চীন বন্ধু পাকিস্তানের কথা ভেবেই এইভাবে বারংবার ভেটো দিয়ে আসছে। অথচ ভারতের বিশাল বাজারে চীনা দ্রব্য বিক্রি করে রমরমিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে চীনা সংস্থাগুলি। দেশবাসীর কাছে তাদের আর্জি, চিনের পণ্য বয়কট করা হোক৷ তবেই উচিত শিক্ষা পাবে প্রতিবেশী এই দেশটি৷

এর আগেও দেশজুড়ে চিনা পণ্য পুরোপুরি বর্জনের দাবি উঠেছিল৷ উরি হামলার পর চিন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল৷ তখন দেশ জুড়ে চিনা পণ্য বয়কট করা শুরু হয়৷ ২০১৬ সালে দীপাবলীর আগে চিনা পণ্যের বিক্রির হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায়৷ এতে চিন্তা বাড়ে বেজিংয়ের৷ তারা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, চিনা পণ্য বয়কট করলে ক্ষতি হবে ভারতেরই। কারণ তাতে দ্বিপাক্ষীক সহযোগিতার সম্পর্ক ধাক্কা খাবে এবং ভারতে চিনা প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest