মাসুদ আজহারের রক্ষাকর্তা চীনকে ভাতে মারার পরিকল্পনা ভারতের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গী তকমা দিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ফের বাধা দিয়েছে চীন। একাধিকবার একই কাজ করেছে তারা। কিন্তু এবার আর বিষয়টি সহজ ভাবে মেনে নিতে রাজি নয় ভারত। এবার চীনকে শাস্তি দেওয়ার পথ বেছে নিচ্ছে নয়াদিল্লি। যদিও সরাসরি ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফ সে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি।

জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ফাইভ জি নিয়ে ভারতে ব্যবসা করতে আসছে চীন। কিন্তু এবার সহজে ভারতের বাজার খুলে দিতে নারাজ নয়াদিল্লি। প্রাক্তন গোয়েন্দা আধিকারিক জয়দেব রানা ডি জানিয়েছেন, ভারতের উচিত অবিলম্বে চীনের ফাইভ জি প্রযুক্তির প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া। উল্লেখ্য রানা ডি এক সময় চীনে ইন্টেলিজেন্স এর কাজ সামলেছেন ভারতের হয়ে। প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত কথা প্রাক্তন বিদেশ সচিব কানওয়াল সিব্বল বেজিংয়ের এই ভূমিকা নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন,’চীনের এই ব্যবহারের পর আমাদের আরো মজবুত ভূমিকা নেওয়া উচিত। নরম গলায় চীনের প্রতি আবেদন-নিবেদন বন্ধ করা উচিত এবার।’

দ্য প্রিন্ট সংবাদ মাধ্যমকে উচ্চপদস্থ ভারতীয় সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, চীন ইস্যুতে অত্যন্ত চাপে রয়েছে মোদী সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্রে দাবি উঠছে চীনকে শাস্তি দেওয়ার। কিন্তু চীনের সঙ্গে এই মুহূর্তে সরাসরি কোন সংঘাতে জড়াতে চাইছে না ভারত। কারণ এই প্রতিবেশী দেশটি সব দিক দিয়েই যথেষ্ট শক্তিশালী পাকিস্তানের মত এই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ উত্তেজনা ছড়িয়ে বিশেষ কাজ হবে না। সে কারণেই অতি সাবধানে মোদি সরকার ভাবছে কিভাবে চীনকে দেশে ব্যবসা করা থেকে বিরত রাখা যায়। চীনের ফাইভ-জি প্রকল্প কোন ভাবে আটকে দেওয়ার ভয় দেখানো গেলে হয়তো কাজ হতে পারে এমনটাই ভাবা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, অর্থনৈতিকভাবে চীনকে এই মুহূর্তে চাপে রাখা ভারতের পক্ষে কার্যত অসম্ভব। এমনিতেই ভারতীয় পণ্য সামগ্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এতদিন যে বিশেষ ছাড় পেত তা প্রত্যাহার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই অবস্থায় চীন বিরোধী পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সংশয়ে ওয়াকিবহাল মহল।

উল্লেখ্য, দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে হিসেবে ফাইভ জি এন এ ভারতের বাজার দখল করার তালে রয়েছে চাইনিজ টেলিকম সংস্থার বিশাল কম্পানি হুআওয়েই। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest