Site icon The News Nest

মাসুদ আজহারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ফ্রান্স সরকার

masood

নয়াদিল্লি : মুম্বই ও পুলওয়ামা হামলার মূলচক্রী মাসুদ আজহারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ফ্রান্স সরকার। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্ত্ৰাসবাদী তালিকায় আজহারের নাম তুলতে উদ্যোগ নিল প্যারিস।

পাকিস্তানে ঘাঁটি গড়া জইশ-ই-মহম্মদ নেতাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম আবেদন জানিয়েছিল ফ্রান্স। প্রস্তাবটি সমর্থন করে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ নিরাপত্তা পরিষদের ১০টি স্থায়ী এবং অস্থায়ী সদস্য দেশ। তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সমর্থনে এগিয়ে এসে প্রস্তাবটি ভেটো দিয়ে রুখে দেয় চিন।কিন্তু তাতেও যে তার নিস্তার নেই, তা স্পষ্ট হল শুক্রবার।এদিন ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, ফ্রান্সে মাসুদ আজহারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট আইনে মাসুদ আজহারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে’।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার প্রসঙ্গও। বলা হয়েছে, ‘পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় অন্তত ৪০ জন সিআরপি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মহম্মদ। এই জইশকে ২০০১ সাল থেকেই জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।’ সেই কারণেই ইউরোপের মিত্র দেশগুলিকে এই জঙ্গি সংগঠনের মাথা মাসুদ আজহারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আর্জি জানাবে ফ্রান্স। তবে এখানেই থেমে থাকতে নারাজ ফ্রান্স। বরং মাসুদের বিরুদ্ধে আরও বড় পদক্ষেপ করতে চায় ফরাসি সরকার। তারা চায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জঙ্গিদের তালিকায় নাম উঠুক মাসুদের। এ নিয়ে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে আলোচনাও করবে।

২০১৬ সালে পাঠানকোটে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে জঙ্গি হানার পর থেকেই আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু বার বার তা আটকে গিয়েছে চিন ভেটো দেওয়ায়। পুলওয়ামা হামলার পর ফের চাপ বাড়ে পাকিস্তানের উপর। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য তিন দেশ আমেরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেন নতুন করে প্রস্তাব পেশ করে। কিন্তু এ বারও পথের কাঁটা সেই বেজিং। ফলে এই নিয়ে চতুর্থ বার মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ঘোষণার প্রক্রিয়ায় প্রাচীর তুলে দিল চিন। তার পরই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণা করে অন্য পথে পাকিস্তান ও আজহারের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করল ফ্রান্স।

Exit mobile version