মুকুল-শমীককে ঘেরাও করে গাড়িতে ভাঙচুর, ধুন্ধুমার কাণ্ড দমদমে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#দমদম: শেষ দফার ভোটের প্রচার শেষ হতে না-হতেই বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি-সিপিএম গোপন বৈঠক এবং টাকা বিলির অভিযোগকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে দমদম নাগের বাজার এলাকা।

তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা নাগের বাজারের বাবুতলায় একটি গেস্ট হাউস বা অতিথি নিবাসে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং দমদমের এক বর্ষীয়ান সিপিএম নেতাকে প্রায় দু’ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখেন। বিক্ষোভের মধ্যেই শুরু হয় ভাঙচুর। স্থানীয় জনতাও তাতে যোগ দেয়। ভাঙচুর হয় তিনটি গাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চালায়। গাড়ির কাচে হাত কেটে যায় দমদম থানার আইসি-র। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ঘণ্টা দুয়েক পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

দমদমের নাগেরবাজারে যে গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন দমদম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য ও মুকুল রায়, সেই গেস্ট হাউসের উপরতলার ফ্ল্যাটে থাকেন রাজু সরকার। তাঁর দাবি, গেস্ট হাউসে নয়, পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তাঁর বাড়িতেই এসেছিলেন মুকুল, শমীক ও সিপিএম নেতা পল্টু দাশগুপ্ত। রাজু বলেন, “আমার স্ত্রীর জন্মদিন ছিল। আমি মুকুল রায়কে ডেকেছিলাম। বলেছিলাম আশীর্বাদ করে যাও। আমি দীর্ঘদিন মুকুল রায়ের সঙ্গে আছি। আমার বাড়ির অনুষ্ঠানে উনি তো আসবেনই।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল ভেবেছে প্রচার শেষ মানে কেউ কারও বাড়িতে যেতে পারবে না। তা তো হয় না। আমরা কমিশনে কথা বলেছি।” যদিও তা মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

তৃণমূলের অভিযোগ, প্রচার শেষের পরও মুকুল রায় দমদমে কী করছেন। এটা ওঁর এলাকা নয়। নিয়ম অনুযায়ী ও থাকতে পারেন না। জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে টাকা বিলির অভিযোগ তুলেছে শাসক দল। মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্ত দমদমে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁকে অনুমতি দিয়েছে কমিশন। এডিজি আইন শৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তা বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল। ফোর্স পৌঁছেছে।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest