মুখ্যমন্ত্রীর কাজে ফেরার আহ্বান উড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#কলকাতা: চিকিত্সকদের আন্দোলনে নেই রাজনীতির ছোঁয়া। সঠিক কথা বলছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পর এভাবেই জবাব দিলেন এনআরএস-এর জুনিয়র ডাক্তাররা। একই সঙ্গে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা আশ্বাস, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে এনআরএস -এ আসুন। কেউ কোথাও বিক্ষোভ দেখাবে না। আপনার সম্মানহানি হয় এমন কোনও কাজ করবেন না জুনিয়র ডাক্তাররা।

শনিবার সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা যেন নবান্নে এসে তাঁদের সমস্যা এবং দাবিদাওয়ার ব্যাপারে কথা বলেন। পাশাপাশি তাঁরা যেন ডিউটিতে ফেরেন সে ব্যাপারেও আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর সব আবেদনই ফিরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। ওঁর চেষ্টায় সততা নেই। উনি বলেছেন আমরা নবান্নে যাইনি। যার মানে দাঁড়ায় আমরা সমাধানের বিরুদ্ধে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের আন্দোলন চলবে।” এ ছাড়াও আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরাও দ্রুত ডিউটিতে ফিরতে চাই। আমাদের একটাই দাবি মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএস-এ এসে কথা বলতে হবে।”

এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনার পরেই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে ধারা দেওয়া হয়েছে  তারা জামিনও পায়নি। ঘটনার পরেই সকলকে পাঠিয়েছিলাম। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র গিয়েছিলেন ওদেরকে বোঝাতে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি নিজেও ফোন করে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কথা বলেনি।” শুক্রবার ৫ জন সিনিয়র ডাক্তার গিয়েছিলেন নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। আসার কথা ছিল জুনিয়র ডাক্তারদেরও। কিন্তু তাঁরা যাননি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলাম ওরা আসেনি। আজও ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করলাম।”

তবে চিকিত্সকদের আন্দোলনে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলতে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এসেছিলেন। কিন্তু, কোনও রাজনৈতিক দলের এই আন্দোলনের সঙ্গে যোগদানের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। তবে তারা বাইরে বেরিয়ে কী বলেছেন তা তাঁদের ব্যাপার।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest