মুজফ্‌ফরপুর হোম কাণ্ড: ১১ কিশোরীকে খুন করে পুঁতে দিয়েছে ব্রিজেশ ঠাকুর ও তার সঙ্গীরা, রিপোর্ট সিবিআইয়ের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মুজফ্‌ফরপুর: বিহারের মুজফ্ফরপুর হোমকাণ্ডে সর্বোচ্চ আদালতে চাঞ্চল্য হলফনামা সিবিআই-এর। তারা জানিয়েছে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং কবর থেকে যেসব হাড় উদ্ধার করা হয়েছে, তার থেকে বলা যায়, হোমে থাকা ১১ বালিকাকে হত্যা করেছিল মূল অভিযুক্ত ব্রিজেশ ঠাকুর এবং তার সঙ্গীসাথীরা। কাছেই একটি কবরস্থানের বিশেষ জায়গা থেকে প্রচুর হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছে সিবিআই। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও তদন্তে ওই ১১ কিশোরীর নামও উঠে এসেছে। এই ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ইস্তফা দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছে আরজেডি। তাদের দাবি, নীতীশ ইস্তফা না দিলে রাজ্যপালের উচিত রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত করা।

টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিস)-এর তরফে রাজ্যের জুভেনাইল হোমগুলিতে গত বছর বিশেষ অডিট করা হয়। সেই অডিট রিপোর্টেই বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত মুজফ্ফরপুরের এই হোমে আবাসিকদের উপরে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আসে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮-র মধ্যে ছ’জন কিশোরী ওই হোম থেকে নিখোঁজ হয়েছে বলেও অভিযোগ। এরপরেই চাঞ্চল্য দেখা দেয়। তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআই-এর হাতে। তদন্ত করে মূল অভিযুক্ত ব্রিজেশ ঠাকুর-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় তারা। সিবিআই জানিয়েছে, তদন্তকারী অফিসার অভিযুক্তদের বয়ান রেকর্ড করার সময় এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সের তদন্তে ১১ বালিকার নাম পাওয়া যায়। যাদের ব্রিজেশ ঠাকুর ও তার দলবল হত্যা করেছিল।

হলফনামায় সিবিআই জানিয়েছে, ‘বালিকা গৃহ’ নামে মুজফ্‌ফরপুরের ওই হোমে কম-বেশি ৩৫ জনের মতো কিশোরী ছিল। আবাসিকেরা জানিয়েছে, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসে ওই কিশোরীদের উপরে শারীরিক ও যৌন অত্যাচার চালাত। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি আদালতে একটি আবেদন করা হয়েছিল। যেখানে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এই মামলায় পক্ষপাত দেখানোরও অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই আবেদনের শুনানিতে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সিবিআইকে একটি নোটিস পাঠিয়ে চার দিনের মধ্যে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী সোহেব আলম এবং ফৌজিয়া শাকিল ডিভিশন বেঞ্চে বলেন, সিবিআই সঠিকভাবে তদন্ত করেনি। বিষয়টি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। আবেদনকারীর আইনজীবী দাবি করেন, সিবিআই মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। যদিও সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী তথা অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।একটি হলফনামায় সিবিআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালানো হয়েছে। ৬ মে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest