মেদ কমবে সহজেই, জেনে নিন ভিনিগারের ধরন-ধারণ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: বিভিন্ন ধরনের রান্নায় ভিনিগার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। হালকা ধরনের খাবার তৈরিতে এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়। যেমন স্যুপ বা বীজজাতীয় খাবারে এটি বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়। এ ছাড়া খাবার সংরক্ষণ, সবজি রান্না, সালাদ ড্রেসিং করা হয় ভিনিগার দিয়ে। এটি শরীরের বাড়তি চর্বি কাটতে সাহায্য করে। অনেক ভিনিগার ব্যবহৃত হয় গেরস্তালি কাজেও।

ভিনেগারের রয়েছে নানান ধরন। ভিনিগার তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যের নির্যাস থেকে। একেক ভিনিগার ব্যবহৃত হয় একেক ধরনের খাবারে। আমাদের দেশে বেশি প্রচলিত দুই ধরনের ভিনিগার—সাদা ভিনিগার ও অ্যাপল সিডার ভিনিগার। এখানে কয়েক ধরনের ভিনিগার নিয়ে আলোচনা করা হলো।

সাদা ভিনিগার

সারা বিশ্বেই বহুল প্রচলিত সাদা ভিনিগার । যুক্তরাষ্ট্রে এটি বেশি ব্যবহার করা হয় ঘরবাড়ি পরিষ্কারের কাজে, যা প্রথমত ইথানল বা পরীক্ষাগারের অ্যাসিটিক অ্যাসিড থেকে তৈরি হয় এবং পরে জল দিয়ে আরও পাতলা করা হয়। খাবারে এ ধরনের ভিনিগার স্বাদ খুব একটা ভালো নয়, তবে পরিচ্ছন্নতার কাজে এর জুড়ি নেই।

অ্যাপল সিডার ভিনিগার

দ্বিতীয় বহুল পরিচিত ভিনিগার হিসেবে যার নাম আসবে, সেটা অ্যাপল সিডার ভিনিগার । আপেলের নির্যাস থেকে যা তৈরি হয় পানি আর চিনি বা মধু মিশিয়ে। এই ভিনিগার সালাদ, ড্রেসিং বা ম্যারিনেটের জন্য সবচেয়ে ভালো। এতে খাবারে বাড়তি একটা স্বাদ যুক্ত হয়। মুরগির মাংস ম্যারিনেট করার জন্য ভালো উপকরণ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ।

নারকেল ভিনিগার

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার খাবারে জনপ্রিয় একটি উপকরণ হলো নারকেল ভিনিগার। বিশেষ করে ফিলিপাইনে এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ অনেক দেশেই খাবারে নারকেলের জলে তৈরি ভিনিগার ব্যবহারের চল রয়েছে। নারকেল ভিনিগার দেখতে অনেকটা মেঘলা আকাশের মতো।

বালসামিক ভিনিগার

নাম বালসাম হলেও এখানে কোনো ধরনের উচ্ছে বা করলা ব্যবহার করা হয় না। বালসামিক ভিনিগার তৈরির মূল উপকরণ হচ্ছে আঙুরের রস। দারুণ সুগন্ধযুক্ত এই ভিনিগার মূলত ইতালি থেকে ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে পৌঁছেছে, যা অভিজাত পরিবারের রান্নাঘরে বেশি দেখা যায়। বালসামিক ভেষজ গুণসম্পন্ন ভিনিগার। তাই সারা বিশ্বেই এর চাহিদা। তবে এটি তৈরিতে দীর্ঘ সময় ও বাছাই করা উপকরণের কারণে এর মূল্য খুব বেশি। সালাদের ড্রেসিং ও ম্যারিনেটের জন্য বালসামিক ভিনিগার বেশি ব্যবহার করা হয়।

রাইস ভিনিগার

বিভিন্ন প্রকার শস্যদানা থেকে নানা রকম ভিনিগার তৈরি হয়। তবে এর মধ্যে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ধানের চাল থেকে তৈরি ভিনেগার, যা রাইস ভিনিগার নামে পরিচিত। এই ভিনিগার এশিয়ান খাবারে বেশি ব্যবহার করা হয়। এর বাইরে ম্যারিনেট করতেও রাইস ভিনেগারের চল আছে। অন্য ভিনেগারের মতো তেতো বা অম্ল নয়, বরং রাইস ভিনেগার কিছুটা মিষ্টি হয়।

এর বাইরেও আরও নানা রকম ভিনিগার আছে, যা খাবারে ব্যবহার করা হয়। অধিকাংশ ভিনেগারে চর্বি, কার্বোহাইড্রেটের মতো উপাদান নেই। এর বদলে জলের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই শরীরের জন্য উপকারীই বটে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest