মেরুদণ্ড-পাঁজরে চোট পেয়েছেন অভিনন্দন,শরীরে যন্ত্র ঢোকায়নি পাকিস্তান-জানালেন চিকিৎসকেরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক:  পাকিস্তানি সেনার হাতে থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দিল্লির সেনা হাসপাতালে এখন চিকিত্সা চলছে বায়ুসেনা পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের। তাঁর শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে মানসিক পরীক্ষার ওপরে।

তবে অভিনন্দনের মেরুদণ্ডে এবং পাঁজরের হাড়ে চোট রয়েছে, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়ার পর তাঁকে যে মারধর করা হয়েছিল, সেটার কারণে, নাকি চলন্ত বিমান থেকে বেরিয়ে আসার কারণে হয়েছে সেটা স্পষ্ট নয়। তবে সেগুলি তেমন গুরুতর নয়। আরও অন্তত ১০ দিন তাঁর চিকিৎসা চলবে। রবিবার অভিনন্দন কথা বলেছেন তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে। রবিবার তাঁর ডি-বিফ্রিং (অর্থাৎ মিগ-২১ যুদ্ধবিমানে ওড়া থেকে শুরু করে ‘ডগ ফাইট’, বিমান ধ্বংস হয়ে যাওয়া, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে নামা, পাক সেনার হাতে বন্দি হওয়া এবং ভারতে ফেরা পর্যন্ত সমস্ত কিছু সেনা কর্তাদের জানানো ও বর্ণনা করা) হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া আরও চলবে বলে সেনার একটি সূত্রে জানানো হয়েছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমান। মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান নিয়ে পাল্টা আক্রমণে নামেন উইং কম্যান্ডার অভিনব বর্তমান। পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন তিনি। তাঁর মিগ বিমানটিও ভেঙে পড়ে। বিমান থেকে বেরিয়ে প্যারাশুট নিয়ে নেমে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে নামতে সফল হন অভিনন্দন। তার পরই পাক সেনা তাঁকে বন্দি করে।প্রায় ৬০ ঘণ্টা পাক সেনার হেফাজতে থাকার পর শুক্রবার রাত ৯.২৫ মিনিটে ওয়াঘা-অটারী সীমান্ত দিয়ে ভারতের মাটিতে পা রাখেন অভিনন্দন। রাতেই সেখান থেকে তাঁকে দিল্লিতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে। সেখানেই সেনাবাহিনীর আর আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অভিনন্দন। আশঙ্কা ছিল, পাক সেনা কোনও মাইক্রো চিপ তাঁর শরীরে ঢুকিয়ে দিতে পার, যা যাতে ভারতীয় সেনার কার্যকলাপ বা গতিবিধির আঁচ করতে পারে পাক সেনা। আড়ি পাতার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে ওই যন্ত্র বা মাইক্রো চিপ। এই পরিস্থিতিতেই শনিবার অভিনন্দনের এমআরআই করা হয়। রবিবার সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর শরীরে কোনও যন্ত্র, চিপ বা বাইরে থেকে ঢোকানো কোনও ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest