কলকাতা ঃ আই লিগে ফের হার মোহনবাগানের। ঘরের মাঠে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে পরাজিত হল সবুজ-মেরুন। মেহতাব হোসেনের বিদায়ী ম্যাচে হতশ্রী ফুটবল উপহার দিলেন ডিকা-হেনরিরা।
এমনিতে অ্যারোজ ম্যাচে কোনও টার্গেট ছিল না বাগান ফুটবলারদের কাছে। মোহনবাগান এমনিতেই আই লিগের খেতাবি লড়াইয়ে নেই। তবে সতীর্থ মেহতাবের বিদায়ী ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলেন সোনিরা। সেটা হল না। এগিয়ে গিয়েও তিন গোল হজম করলেন কিংসলেরা। সে অর্থে এই ম্যাচ থেকে তেমন কিছু পাওয়ার ছিল না মোহনবাগানের। হার-জিতে লিগের ভাগ্য আর বদলাবে না। সে অর্থে এই ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। আপাত নিয়মরক্ষার এই ম্যাচকে আকর্ষণীয় করে তুলেছিল মেহতাব হোসেনের অবসরের সিদ্ধান্ত। ফুটবল জীবনের সেরা সময়টা মেহতাব কাটিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলে। কিন্তু তাতে কী, মোহনবাগানের জার্সি গায়েও তাঁর সাফল্য কম নয়। দীর্ঘদিন বাদে সবুজ মেরুনের কলকাতা লিগ জয়ী দলের সদস্য তিনি। তাই, বিদায়ের ম্যাচটা মেহতাবের জন্যই জিততে চাইছিল মোহনবাগান। বিদায়ের ম্যাচে মোহনবাগানের নেতৃত্বভারও ছিল মেহতাবের উপরই। তাছাড়া সুপারকাপের আগে আই লিগ অভিযানের শেষটা ভাল করে করাই লক্ষ্য সবুজ মেরুনের। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত জয়ও এল না। ফেডারেশনের ডেভেলপমেন্টাল দল অ্যারোজ। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯, অনূর্ধ্ব-২১ দলের ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি এই দল। কোনও বিদেশিও নেই। এহেন দলের কাছেও হারতে হল খালিদ ব্রিগেডকে।
বে ম্যাচে প্রথম পনেরো মিনিট চাপ রেখেছিলেন সনি, ডিকারা। যার ফলে ১৭ মিনিটে আজহার গোলে এগিয়ে তাঁরা। তবে এর পর থেকেই ছন্দপতন। ম্যাচে ক্রমগাত হারিয়ে যেতে থাকেন তাঁরা। যার ফল ১০ মিনিটের মধ্যে অভিজিৎ সরকারের গোলে সমতা ফেরায় অ্যারোজ।
জয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই ঝাঁপায় অ্যারোজ। যার ফল ৭৪ মিনিটে রাহুলের গোলে ম্যাচে লিড তাঁদের। এই অর্ধে তেমন ছন্দে পাওয়া যায়নি সনিদের। সংযোজিত সময়ে অ্যারোজের হয়ে ব্যবধান বাড়ান রোহিত।ফলে ১৯ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানেই রইল মোহনবাগান। অন্য দিকে ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে শেষ করল ইন্ডিয়ান অ্যারোজ।