#ওয়াশিংটন: কিছু দিন পরেই ভারত সফরে আসবেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পোম্পেও। তার আগে বিজেপির নির্বাচনী স্লোগান শোনা গেল তাঁর গলায়। বলে উঠলেন ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।’
ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের বিশেষ সম্মেলনে বুধবার বক্তব্য রাখেন পোম্পেও। সেখানে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বলেছেন, মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় অর্থাৎ মোদীর পক্ষে সবই সম্ভব। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কী কী সম্ভাবনা রয়েছে, সেই দিকেই নজর দেব আমরা।”
আসন্ন ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি দিল্লিতে গিয়ে মোদী ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে দেখা করব। আমার কয়েকটি ‘বিগ আইডিয়া’ আছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আমরা উচ্চতর স্তরে নিয়ে যাব। আগামী ২৪ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে পম্পিও ভারত, শ্রীলঙ্কা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন। পম্পিও বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও কড়া অবস্থান নিয়ে জানিয়েছে, তারা যদি সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, কখনই মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের নতুন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর একসময় আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তাঁর কথা উল্লেখ করেন পম্পিও। জয়শংকর এপ্রিলেই বলেছিলেন, তিনি আমেরিকার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চান। পম্পিও এদিন বলেন, আমরাও তাই চাই। সেজন্য গত বছরেই আমাদের প্রতিরক্ষা দফতরের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের কথা হয়েছিল।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচন নিয়ে পম্পেও বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল দেখে অনেকেই অবাক হলেও, আমি হইনি। আমি ও আমার টিম ভারতের রাজনৈতিক গতিবিধির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছিলাম। ফলে মোদিই যে ফের ক্ষমতায় আসবেন তা আমাদের জানা ছিল। চা বিক্রেতার ছেলে থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে মোদি দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি অন্য ধাতুতে গড়া। আজ তিনি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশের নেতা।’
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একাধিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে ভারতে। ইরান থেকে তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরাসরি প্রভাব পড়েছে এ দেশে। রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন।শুধু ভারত নয়, শ্রীলঙ্কা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও সফর করবেন ট্রাম্পের এই সহযোগী। ‘ইন্ডো-প্যাসিফিক’ অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার জন্যই এই সফর বলে জানানো হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের তরফ থেকে। ২৮-২৯ জুন জাপানের ওসাকায় জি-২০ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে তাঁর এই সফর শেষ হবে।