#কেদারনাথ: সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১২০০০ ফুট উপরে কেদারনাথ মন্দিরের কাছে এক গুহায় শনিবার রাতে ধ্যানে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই গুহা আর পাঁচটা গুহার থেকে একদম আলাদা। সাধারণ ভাবে সাধুসন্তরা যে ধরনের গুহায় ধ্যান করেন, মোদীর গুহা ছিল একদম আলাদা। এমনই তথ্য উঠে এসেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত যে গুহায় ধ্যান করেছেন মোদী, সেখানে ওয়াই-ফাই পরিষেবা ছিল। পাশাপাশি গুহার মধ্যে ছিল একটি টেলিফোনও। সুবন্দোবস্ত ছিল শৌচাগারেরও। গুহায় থাকা জানালা দিয়ে কেদারনাথ মন্দির দেখা যায়। নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মউন্টারিং- এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আসবেন বলে বহু আগে থেকে গুহাটি সাজানো হচ্ছিল। গুহাটিতে জল ও বিদ্যুতের বাবস্তাব আছে. গতবছর পাহাড় কেটে এটি তৈরি করা হয়. তারপর থেকে তালাবন্ধ ছিল। গুহাটিতে সিসিটিভিও আছে বলে দাবি ওই কর্মকর্তার।
শনিবার সকালে কেদারনাথে পা রাখেন মোদী। তার পর মন্দিরে পুজো দিয়ে অঞ্চলের উন্নয়নের প্রকল্পগুলির অগ্রগ্রতির রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন তিনি। এ সবের পর হেঁটে গুহায় পা রাখেন তিনি। ৮ ফুট বাই ৯ ফুটের এই গুহায় প্রবেশের দরজার উচ্চতা পাঁচ ফুটের। এই গুহায় সারা রাত ধ্যান করে রবিবার সকালে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন মোদী। তার পর কেদারে ভক্তদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বদ্রিনাথে পাড়ি দেন তিনি। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বদ্রিনাথে পৌঁছেছেন মোদী।
তৃণমূলের অভিযোগ, কেদারনাথ-বদ্রিনাথ যাত্রা করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে গেরুয়া দলের ‘পোস্টার বয়’৷ তৃণমূল মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন কমিশনকে চিঠিতে লেখেন, ‘‘শেষ দফার ভোটের প্রচার গত ১৭ মে সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হয়ে গেলেও, গত দু’দিন ধরে সর্বভারতীয় ও স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কেদারনাথ যাত্রার ঢালাও প্রচার হচ্ছে। এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। এটা বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
তৃণমূলের পাশাপাশি মোদীর বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তুলেছে প্রদেশ কংগ্রেসও৷ সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য চিঠিতে লেখেন, ‘মোদীর এই সফর মডেল কোড ওফ কন্ডাক্টের পরিপন্থী৷ যা ভোটারদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে৷ অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যস্থা নিন৷’