মোদী ও বিজেপিকে অভিনন্দন জানিয়ে ইস্তফার ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন রাহুল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর উনিশের ভোট বৈতরনী পার হওয়ার জন্য তাঁর উপরেই আস্থা রেখেছিল কংগ্রেস। প্রচারে ঝড় তুললেও ভোটের ফল ঘোষণার সময় দেখা গেল, চোদ্দর থেকেও ভালো ফল করেছে বিজেপি ও এনডিএ জোট। ভোটে খারাপ ফল তো বটেই, এমনকী নিজের কেন্দ্র অমেঠীতেও স্মৃতি ইরানির কাছে হারতে হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। আর তারপরেই এই হারের দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন রাহুল।

এ বারের ভোটে প্রচারের সময় শুরু থেকেই রাফাল, নোটবন্দি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাহুল। গোটা ভারত জুড়ে একের পর এক সভা করেছিলেন। কিন্তু সেসবে যে কাজ হয়নি, তা বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই প্রকাশ পায়। তারপরেও কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি জানিয়েছিল, বিজেপির প্রভাবেই বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল এরকম হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোটবাক্স খুলতেই দেখা গেল, বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রায় মিলে গিয়েছে। এমনকী সমীক্ষাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপি।

আর ভোটের ট্রেন্ড বুঝতে পেরেই সাংবাদিক সম্মেলন করতে আসেন রাহুল। এসে বলেন,“অমেঠীতে স্মৃতি ইরানি জিতেছেন, তাঁকে আমি অভিনন্দন জানাই।  আশা করব, তিনি অমেঠীর মানুষের দেখভাল করবেন। আম জনতা স্পষ্ট মতামত জানিয়েছে, সেই রায়কে স্বাগত।প্রচারেই বলেছিলাম, জনসাধারণই মালিক । নরেন্দ্র মোদীকে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জনগণের রায় আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। তবে কংগ্রেস সমর্থকদের বলতে চাই, কেউ ভয় পাবেন না। হতাশ হবেন না। আমরা আবার পুরো উদ্যমে কাজ করব।”

তবে সূত্রের খবর, ভোটের ফল দেখেই কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন রাহুল। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। সেখানেই রাহুলের ইস্তফার ব্যাপারে কথা হবে। যদি রাহুল পদত্যাগ করেন, তাহলে কি প্রিয়ঙ্কা নতুন সভাপতি হতে পারেন, সেই নিয়েই গুঞ্জন শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest